
ইউরোপীয় ফুটবলে প্রায়ই দেখা যায় কোনো দেশ বা দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর খেলোয়াড়েরা ছাদখোলা বাসে ট্রফি নিয়ে শিরোপা উৎযাপন করেন। আর তাদের চারপাশ ঘিরে রাখে সমর্থকরা।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঐতিহাসিক সাফ জয়ের আগে নারী ফুটবলার সানজিদা আক্তারের এক ফেসবুক পোস্টেও উঠে এসেছে ছাদখোলা বাসের প্রসঙ্গ। শিরোপা জয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে সমর্থকরাও দাবি জানাচ্ছেন, চ্যাম্পিয়নদের যেন ছাদখোলা বাসেই বরণ করা হয়। বাফুফে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অবশেষে সেটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাফ শিরোপাজয়ী মেয়েদের বরণ করতে বিআরটিসির কমলাপুর ডিপোতে ছাদখোলা বাস সাজানোর কাজ চলছে।
ইতিহাসগড়া জয়ের পর নারীরা দেশে ফিরবে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে। নেপাল থেকে দুপুরে সোয়া ১২টার ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন সাবিনা খাতুনরা। এক ঘণ্টার ফ্লাইট শেষে দুপুর সোয়া ১টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার তাদের।
সাফজয়ীদের বরণে আর কী কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভায় বসবে বাফুফে। এরপরই এ ব্যাপারে বিস্তারিত ঘোষণা আসতে পারে।
আরও পড়ুন: টয়লেটের মেঝেতে খাবার দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের!
ফাইনালের লড়াইয়ে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নিজের ফেসবুক পেজে অত্যন্ত গোছানো এক আবেগঘন স্ট্যাটাস শেয়ার করেন বাংলাদেশ নারী দলের ফুটবলার সানজিদা আক্তার। তিনি লেখেন, ‘যারা আমাদের এই স্বপ্নকে আলিঙ্গন করতে উৎসুক হয়ে আছেন, সেই সকল স্বপ্নসারথির জন্য এটি আমরা জিততে চাই। নিরঙ্কুশ সমর্থনের প্রতিদান আমরা দিতে চাই। ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনীকে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই।’
সানজিদারা তাদের কথা রেখেছেন। তাই দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা সানজিদাদের এমন আক্ষেপ অপূর্ণ রাখতে চান না বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। সানজিদা, সাবিনাদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন ছাদখোলা বাসেই তাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে সানজিদা ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, তারা বিজয়ী হলে হয়তো ছাদখোলা কোনো বাসে তাদের ট্রফি নিয়ে আসা হবে না। তার সে আক্ষেপ দেখে আমাদের অন্তরে ব্যথা লেগেছে। আমাদের দেশে যদিও ছাদখোলা কোনো বাস নেই ঢাকায়। তারপরও আমরা তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করেছি। তাদেরকে ছাদখোলা বাসে বিমানবন্দর থেকেই সংবর্ধনা আমরা দেব। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবন পর্যন্ত তাদের আমরা নিয়ে যাব। তাদের মনের আশা পূরণ করব।’