সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন জনপদ সন্দ্বীপেও পৌঁছে যাচ্ছে বিদ্যুতের ঝলমলে আলো। এতে পালটে যাচ্ছে চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলাটির চিত্র। দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আলো পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সেখানকার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও।
অথচ বেশ কবছর আগেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন দৃশ্য কল্পনা করা যায়নি। এখন সন্দ্বীপের ঘরে বাইরে সর্বত্রই আলোর সমাহার। সেখানে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে কলকারখানা। বাড়ছে নানা সম্ভাবনা, যেখানে হতে পারে পর্যটন শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতেরও বিকাশ। একই সঙ্গে বিপ্লব হতে পারে কৃষি, মৎস্য ও গবাদি পশু খাতেও।
আরও পড়ুন# কুয়াকাটায় ভেসে এলো ৩০ ফুটের অর্ধগলিত বিশাল এক তিমি!
সন্দ্বীপ মূলত প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবেই বেশি পরিচিত। এই দ্বীপাঞ্চলের মানুষ এখন অপেক্ষায় অবকাঠামো উন্নয়নের। গ্রামের পরতে পরতে এখন পাকা ভবন নির্মাণের হিড়িক। আগে যেখানে দুটি পুরোনো জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা ছিল মাত্র ২ হাজার ২০০, সাবমেরিন ক্যাবলে বিদ্যুৎ আসার পর গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। ইতিমধ্যে তা ছাড়িয়ে গেছে ৫০ হাজারেরও বেশি। সংযোগ দেওয়া হয়েছে ২৩ হাজারের বেশি।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আবাসিক প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল অনুলিলিকে বলেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্দ্বীপ সফরকালে দ্বীপবাসীকে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা বাস্তবায়ন করে গণভবন থেকে উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই।