
সম্প্রতি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বড়োদের সামনে সিগারেট খাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় এবং এতে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আ’হ’ত হয়েছেন। এই ঘটনা ঘটে শুক্রবার (৭অক্টোবর) সকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার পাগলা থানাধীন নিগুয়ারীর মাখল কালদাইর গ্রামে।
আ’হ’ত ব্যক্তিরা হলেন— রাকিব (২০), মোজাম্মেল (২০), জাহাঙ্গীর (২৫), জহুর আলী (৬০), মোশারফ(৩৫), আসাদ (৫০), সিরাজুল (৪৬), মফিজ উদ্দিন (৫০), আবুল হোসেন (৫৫), মো. হাফিজুল ইসলাম (১৮), নজরুল ইসলাম (৬০)।
জানা যায়, মাখল কালদাইর গ্রামের মফিজুলের সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশি জহুর উদ্দিনের ছেলে রাকিবের সিগারেট খাওয়া নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। এর এক পর্যায়ে উভয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েক দফায় দুই গ্রুপের শতাধিক লোকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। যার ফলে উভয় পক্ষের ১১ জন আ’হ’ত হয়। আ’হ’তদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে নজরুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই বিষয়ে নিগুয়ারী ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জহুর উদ্দিন বলেন, মফিজুল হলো বিএনপি সমর্থক। আর এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি করাকে কেন্দ্র করে রাকিবের সাথে মফিজুলের ঝামেলা হয়। পরে তারা সন্ত্রাসী নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করে।
অন্যদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান তাইজুদ্দিন মৃধা বলেন— দুই দলের মধ্যে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়েছে। তা এক পর্যায়ে মারামারি অবস্থায় গিয়েছে। এতে উভয়ের লোকজন আ’হ’ত হয়েছে। আর কিশোর গ্যাং তৈরির বিষয়টি এলাকার জন্য হুমকি। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
পাগলা থানার ওসি মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও কোন পক্ষ মামলা করেনি।