
স্কুলছাত্রী অদিতি হ’ত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মূল আসামি মো. সাঈদকে আটক করা হয়েছে। নোয়াখালীর এসপি মো.শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নি’হ’ত ওই স্কুলছাত্রীর নাম তাসমিয়া হোসেন অদিতি। সে স্থানীয় নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লার মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে। তার মা স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর এলাকায় ওই শিক্ষার্থীর নিজ বাসায় ডাকাতির সময় অদিতিকে হাত ও পায়ের র’গ কে’টে হ’ত্যা করে ডাকাতরা।
আরও পড়ুন# মাকে অবহেলা করায় স্ত্রীদের তালাক দিলেন ৩ ভাই!
নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার জানান, নি’হত অদিতির বড় বোন প্রতিবন্ধী। নিহ’তের মা রাজিয়া সুলতানা উপজেলার জয়নাল আবেদীন মেমোরিয়াল একাডেমির শিক্ষিকা। নি’হতের মা সকাল ৭টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে চলে যায় এবং সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে বাসায় এসে দেখতে পান বাহির থেকে দরজায় তালা লাগানো। পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারাও প্রতিদিনের ন্যায় দরজা বন্ধ থাকায় তারাও কিছু অনুমান করতে পারেনি। পরবর্তীতে অদিতির মা দরাজা খুলে নি’হত অদিতির রুম বন্ধ পাওয়ায় ভিকটিমকে খোঁজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মা বাসার পেছনের দিকের জানালা দিয়ে দেখে তার মেয়ে গ’লা কা’টা রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমের মা তার মেয়েকে রক্তাক্ত নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, প্রতিবেশী নয়নের ছেলে মো. সাঈদ প্রায় সময় তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। অনেক সময় হুমকিও দিয়েছিল। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে ধারণা করা হচ্ছে হ’ত্যা’কারী একা বা দলবল সহ পূর্বপরিকল্পিত সুকৌশলে ওঁৎ পেতে থেকে ভিকটিমকে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে ভিকটিমমকে ধ’র্ষ’ণসহ খু’ন করে মালামাল লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে থানা পুলিশ, ডিবি, পিবিআই, সিআইডি যৌথভাবে তদন্ত করছে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মূল আসামি মো.সাঈদকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্তসহ মামলাটি প্রক্রিয়াধীন আছে।