জাতীয়সন্দেশ

স্বর্ণের চেন ও কানের দুলের লোভে শিশুকে খু’ন!

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় সায়মা আক্তার (৮) নামের এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হ’ত্যা করার পর মরদেহ বস্তাবন্দি করে আলমারি ভেতর রাখেন এক প্রতিবেশী। স্বর্ণের চেন ও দুলের লোভে এ হ’ত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী হানিফের বাড়ি থেকে শিশুটির মরদেহ করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেলিনা ও তার রিকশাচালক স্বামী হানিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, নিহত সায়মা উপজেলার যোশর গ্রামের সারোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্রী।

আরও পড়ুন# মানিকগঞ্জে গাঁজাসহ ১ যুবক আটক!

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুল থেকে ফেরার পর দুপুরের খাবার খেয়ে শিশু সায়মা খেলতে বের হয়। এ সময় তার গলায় স্বর্ণের চেন ও স্বর্ণের কানের দুল ছিল। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন সায়মার স্বজন ও প্রতিবেশিরা।

এক পর্যায়ে অন্য এক প্রতিবেশী হানিফের বাড়িতে গেলে তার মেয়ে রাইসা জানায়, তার মা সায়মাকে মেরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে আলমারির ভেতর রেখে দিয়েছেন। তখন স্থানীয়দের সহায়তায় আশপাশের লোকজন নিয়ে হানিফের ঘর থেকে সায়মার মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনরা। পরে তাদের গণাধোলাই দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

সায়মার বাবা সারোয়ার হোসেন দাবি করেন, ‘মেয়ের গলায় স্বর্ণের চেন ও কানের দুল ছিল। সেলিনা কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় সে আমাদের বলে দিবে বলার পরে সেলিনা মেয়েকে শ্বাসরোধে হ’ত্যা করে। মরদেহ বস্তাবন্দি করে আলমিরার ভেতরে রেখে দেয়। সেলিনার শিশু কন্যাই আমাদের বিষয়টি জানিয়ে দেয়।’

শিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, কী কারণে হ’ত্যা করা হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে হত্যার পর তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে তার আগেই তারা স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়ে। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে ঘর থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত দম্পতিকে আটক করা হয়।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।