খবরশিক্ষা

‘স্যার’ না ডাকায় শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও ঢাবির সহকারি প্রক্টর!

কথা বলার সময় ‘স্যার’ না ডেকে ‘ভিসি, প্রক্টর’ ডাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন ঢাবির এক সহকারী প্রক্টর।এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, সহকারী প্রক্টর শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কথা বলছেন।

ঢাবিতে অনিয়ম বন্ধে ৮ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বুধবার আমরণ অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থী হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে হয়রানি বন্ধে ৮ দফা দাবি নিয়ে গত রবিবার ওই ভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র হাসনাত আবদুল্লাহ। এসব দাবির পক্ষে হাসনাত ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া তিনি সেখানে একটি অভিযোগ বক্স স্থাপন করেন। যাদের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং নিয়ে অভিযোগ আছে তারা সেখানে অভিযোগ লিখে জমা দেন।

হাসনাত রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। তবে মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস না পেয়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন তিনি। একইদিন বেলা আড়াইটার দিকে অনশন শুরু করেন হাসনাত। পরে মধ্যরাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টিম ও প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করে হাসপাতালে নিতে চাইলে তিনি যাননি। একপর্যায়ে হাসনাতের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা।

আরও পড়ুন# আফগানিস্তানের নতুন শিক্ষামন্ত্রী হলেন কট্টরপন্থী তা’লেবান নেতা!

এদিকে সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সেখানে যাওয়ার পর তাকে হাসনাতের সঙ্গে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ভিসি ও প্রক্টর এলে হাসনাত অনশন ভাঙতেন।’এ কথার পর সহকারী প্রক্টর মাহবুবুর রহমান ওই শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হয়ে বলেন, ‘এই ব্যাটা তোর কথায় আসবে? ভিসি কে? স্যার বল।’

পরে দুপুরে কার্যালয় থেকে গিয়ে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থী হাসনাতের অনশন ভাঙান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। অনশন ভাঙার পর একদল শিক্ষার্থী হাসনাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

হাসনাতের সাথে অনশন করা শিক্ষার্থী আরমানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্যার’ না বলায় সহকারী প্রক্টর আমাদের ওপর চড়াও হয়েছেন। আমরা একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করি না।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি অনশনরত শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন। তারা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।

তিনি বলেন, আমি তাকে (হাসনাত) অনশন ভাঙতে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তারা আমার সঙ্গে অহেতুক তর্ক করেছে।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।