ফিচার

এই পাঁচটি লক্ষণ আপনার মধ্যে থাকলে আপনি জিনিয়াস

মানুষের বুদ্ধিত্ব তার শ্রেষ্ঠত্ব দিক দিয়েছে। বুদ্ধিমত্তা পরিমাপের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা থাকলেওবিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ বিচার করলেই বুদ্ধিমান কিনা যাচাই করা যাবে। পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা বাকিদের থেকে আলাদা হন, বিশেষ হন। কিছু লক্ষণ আছে বা বলা যায় কিছু অভ্যাস, যা মেধাবী, বুদ্ধিমান, চালাক ব্যক্তিরা মেনে চল। চলেন দেখে নেওয়া যাক আপনি জিনিয়াস কিনা…

১. ঘুমানোর আগে কি আপনি চিন্তা করেন কোন কিছু নিয়ে? সারাদিনে যা হল বা কালকে কোন কাজটি কিভাবে করা যেতে পারে এই সব নিয়ে যদি আপনি ঘুমানোর আগে চিন্তা করে থাকে তাহলে আপনি ও জিনিয়াসদের তালিকার একজন। আপনি একজন স্মার্ট ব্যক্তি। আপনার ব্রেইন সব সময় আপনাকে সতর্ক করে রাখে কোন কাজ করার আগএ যাতে সহজেই কাজটি শুরু করতে করতে পারেন। সাধারণ মানূষ কোন কাজ করার আগে এতকিছু ভেবে কাজ করে না।

২. আপনি যদি অন্যদের দেখাদেখি তাদের পথে না হেঁটে নিজের কাজে মনোযোগ দেন, তবে আপনি বুদ্ধিমান। সফল হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে গা না ভাসিয়ে বরং সঠিক লক্ষ্য রেখে এগিয়ে গেলে ধরা দেবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।আর জিনিয়াসরা নিজের সাথে কথা বলতে ভালোবাসে। এটা খুবই special জিনিস। এটি সবাই চাইলে ও পারে না। কোন কিছু নিয়ে গভীরভাবে ভাবা, নিজের সাথে ভাবতে ভাবতে কথা বলা, আলোচনা করা শুধু জিনিয়াসরাই পারে।

৩. আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন কিন্তু বিজ্ঞানীদের রিসার্চ অনুযায়ী যারা অন্যদের তুলনায় অলস প্রকৃতির মানুষ ,তারা জিনিয়াস হয়। তার মানে কিন্তু এই না যে আপনি এখন থেকে অলস হয়ে যাবেন। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সবসময় নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে জীবনে এগিয়ে যেতে চান। তারা শারীরিক শক্তিকে খুব একটা কাজে লাগাতে চান না। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তারা অলস হয়।

আরো পড়ুন: চোখ দেখেই বুঝে নিতে পারেন আপনার রোগ রয়েছে কিনা

আরেকটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখা হলো সারাদিনে আপনি যে পরিমাণ খাবার খান এবং এর থেকে যে পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয় তার ২০% ব্রেইন ব্যবহার করে। একজন মানুষ যখন কোন কিছু ভাবে বা নতুন কিছু খোজার চেষ্টা করে গভীরভাবে চিন্তাকরে তখন তাদের ব্রেইন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী এনার্জি ব্যবহার করে।।এজন্য তাদের ব্রেইন তারাতারি অলস হয়ে পরে। এছাড়া আরো একটি কারণ আছে। তারা সব কিছু শর্টকাট ভাবে করার চেষ্টা করে। এই জন্যই কিন্তু আমরা টেকনলজি তে এত উন্নতি করতে পেরেছি।

৪. কোন কিছুর প্রতি যখন আমাদের নেশা হয় তা একটি chemical এর কারণে হয় যার নাম ডোপামিন যাকে হ্যাপি হরমোন ও বলা হয়। যারা জিনিয়াস তাদের ব্রেইনে অন্যদের তুলনায় বেশী ডোপামিন সেন্সিটিভিটি থাকে। যার কারণে কম্পিউটার গেইমের প্রতি এডিকশন বা মোবাইলের প্রতি এডিকশন বা অন্য যে কোনোকিছুর প্রতি এডিকশন থাকতে পারে।

৫. ভালো কথা বলতে পারা এবং ভালো লিখতে পারা। বুদ্ধিমান মানুষেরা যুক্তি ও তর্কের মাধ্যমে যে কোন মানুষকে কোন বিষয় বুঝিয়ে দিতে পারে। বা কোন ভুল কথা বলে ফেললে সেটাকে মেকাপ দিতে পারে বু’দ্ধিমত্তার স’ঙ্গে।

বাংলাদেশের এবং বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।