ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রীদের দিয়ে জোর করে অনৈতিক কাজ করানোর যে অভিযোগ উঠেছিল, তার কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। একটি সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এমন দাবি করেছেন ইডেন মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এর সাথে, সিট বাণিজ্য নিয়ে ঘটা সংঘর্ষসহ অন্যান্য অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিধি অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কলেজ প্রশাসন; এমনটা জানিয়েছেন তারা। গতকাল (৬ অক্টোবর) ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান৷
উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গত ২৪ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে ইডেন কলেজে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। পরবর্তীকালে আরও বেশকিছু বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কিছু শিক্ষার্থীর বক্তব্য প্রকাশিত হয়। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মোহাম্মদ জিয়াউল হক, অধ্যাপক কাজী আতিকুজ্জামান, অধ্যাপক সুফিয়া আখতার ও অধ্যাপক মেহেরুন্নেসা মেরীর সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি এ প্রতিবেদন দাখিল করে।’
আরও পড়ুন# এক তরুণী ছিনতাইকারীকে পি’টিয়ে নিজেই উদ্ধার করল নিজের ফোন!
ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘ছত্রীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সিট বাণিজ্যের বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কোনো মতামত আসেনি। তদন্ত কমিটি সবার সঙ্গে কথা বলে মতামত জানার চেষ্টা করেছে। আমাদের কলেজে ছাত্রীর তুলনায় সিটসংখ্যা অনেক কম। এক-দুজন যে সিট বাণিজ্যের ভুক্তভোগী না, সেটা আমরা দৃড়ভাবে বলতে পারছি না। এটা যদি প্রমানিত হয়, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’
সিট বাণিজ্যের ব্যাপারে তিনি আরও যোগ করেন, ‘যারা (ছাত্রলীগের একাংশ) সিট বাণিজ্যের অভিযোগ করছে, তাদের রুমেই সিটের চেয়ে বেশি মেয়ে থাকছে। সবকিছু খতিয়ে দেখতে হবে আমাদের। এ জন্য আমরা অধিকতর তদন্ত করব।’