টানটান উত্তেজনার ম্যাচে অবশেষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আরব আমিরাত। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার সাব্বিরকে হারায় বাংলাদেশ। মাত্র তিন বল খেলে সাবির আলীর বলে বসিল হামিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সাব্বির।
এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ১৩ রান করে আফজাল খানের বলে জুনায়েদ সিদ্দিকের ক্যাচে ধরা দেন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার লিটন দাশ। এরপর দলীয় রান যখন ৩৫, তখন মেহেদী মিরাজও ফেরেন সাজঘরে। মাত্র চার রানে ইয়াসির রাব্বি ও ৩ রানে মোসাদ্দেক আউট হলে চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় স্কোর তখন মাত্র ৭৭ অথচ নেই টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটার। তবে নিরাশ করেননি টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত পারফর্ম করা আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় মাত্র ৫৫ বল খেলে তিনি করেন অপরাজিত ৭৭ রান। দলের আরেক ব্যাটার সোহান করেন ২৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রান। এই দুই ব্যাটারের রানের উপর ভর করে ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের সন্তোষজনক পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন# ক্রিকেট ইতিহাসে “দানবীয়” গতির দশ ডেলিভারি!
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ধীরেসুস্থে খেলতে থাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। তারা প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ২৭ রানে। রানআউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর দ্বিতীয় উইকেট হারান দলীয় ৬৬ রানে, আরব আমিরাতের ছিরাগ সুরি। মেহেদী মিরাজের বলে সোহানের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। ২৫ বলে ৩৯ রান করা এই মারকুটে ব্যাটার কাঁপন ধরিয়েছেন বাংলাদেশের সমর্থকদের মনে।
এরপর তাদের আর কোনো ব্যাটার ভালো রানের দেখা পাননি। আর্য লাকরা ১৯, বৃত্য অরবিন্দ ১৬ ও শেষদিকে আফজাল খানের ২৫ রানে ভর করে ম্যাচে জয়ের আশা দেখতে থাকে আরব আমিরাত। কিন্তু ইনিংসের শেষ ওভারের ৩য় বলে তিনি সাজঘরে ফিরলে জয়ের আশা মিইয়ে যায় আরব আমিরাতের, তার ঠিক পরের বলে শরিফুল ইসলামের বলে জুনায়েদ আউট হলে.৭ রানের জয় তুলে নিয়ে আনন্দে মাতে বাংলাদেশ!
আরব আমিরাতের সাথে ২ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ! সিরিজের ২য় ও শেষ ম্যাচের আগামী ২৭ তারিখ একই সময়ে মুখোমুখি হবে দুই দল!