গত ম্যাচে ইংল্যান্ডের সাথে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। নিজেদের ঘরের মাঠেই বলে-কয়ে তাদের হারিয়ে দিয়েছিল ইংলিশরা। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই প্রতিশোধই হয়তো নিলেন বাবর-রিজওয়ানরা।
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টিতে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ধীরগতির শুরু নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। অনেকের মতে এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে পাকিস্তানের হারের কারণও এই দুই ওপেনার। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা গেল একেবারেই বিপরীত চিত্র। বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিং জুটির কাছেই হেরেছে ইংল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) করাচি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের দেয়া ২০০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩ বল ও সব কয়টি উইকেট হাতে রেখেই জিতেছে স্বাগতিকরা। এ জয়ের ফলে ৭ ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে সমতায় আসল। আগের ম্যাচে বাবররা হেরেছিল ৬ উইকেটে।
আরও পড়ুন: কোহলিকে পেছনে ফেলে রেকর্ডবুকে রিজওয়ান!
প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মঈন আলি ও বেন ডাকেটদের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৯ রান করে ইংলিশরা। আলেক্স হেলস দুর্দান্ত শুরু করলেও ২১ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন দাহানির ওভারে। এরপর দাহানির বলেই ডেভিড মালান ফেরত যান শূন্য রানে। এদিকে ডাকেট ২২ বলে ৭ চারে সাজানো ৪৩ রানের ইনিংস খেলে মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে আউট হয়ে ফেরত যান। পরে মইন আলী খেলেন ২৩ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। পাকিস্তানের পক্ষে জোড়া উইকেট নেন দাহানি ও হারিস রউফ। নেওয়াজ পান এক উইকেট।
জবাব দিতে নেমে আবারও ধীর শুরু করেন কিছুদিন ধরে ফর্মহীনতায় ভুগতে থাকা বাবর আজম। এশিয়া কাপে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে এই ম্যাচে শেষ দিকে গিয়ে শুরুর মন্থর গতির ব্যাটিংয়ের অভাব পুষিয়ে দেন এই অধিনায়ক। তুলে নেন সেঞ্চুরিও। ৬২ বলে শতক স্পর্শ করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৬৬ বলে ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তান অধিনায়ক। অন্যদিকে মোহাম্মদ রিজওয়ান শুরু থেকেই ছিলেন মারকুটে ভঙ্গিতে। ৫১ বলে ১১টি চার ও ৫টি ছয় নিয়ে ৮৮ রান করেন তিনি। শেষতক বাবর-রিজওয়ান মিলে গড়েন ২০৩ রানের জুটি, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সেরা পাঁচ জুটির একটি।