মিথিলার স্ট্যাটাসে আপত্তিকর কমেন্টের বন্যা!
তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্তদের ও সাধারণ মানুষের কৌতুহলের কমতি নেই। আর তারকাদের কাজ ও তাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার বিষয়টি আমাদের দেশে খুব বেশি হয়।
আধুনিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কারণে তারকাদের সঙ্গে ভক্ত, অনুরাগী ও সাধারণ মানুষজনের মধ্যে দূরত্ব কমে এসেছে। এর যেমন ইতিবাচক দিক রয়েছে, তেমনই রয়েছে নেতিবাচক দিকও।
এই যেমন তারকাদের ছবি বা স্ট্যাটাস নিয়ে প্রায়ই হয়ে থাকে বুলিং। প্রায়ই শিল্পীদের হতে হয় সাইবার বুলিংয়ের শিকার। অথচ তারাও রক্ত মাংসের মানুষ তা আমরা ভুলে যাই।
যেমন এপার ও ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার একটি স্ট্যাটাসকে ঘিরে ফেসবুকে চলছে তুমুল কুমন্তব্য। বুধবার বিকেলে মিথিলা ফেসবুকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটোগল্প হৈমন্তী’র কয়েকটি লাইন লিখে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে কুমন্তব্যের ঝড়!
আরও পড়ুন# প্রকাশ্য সভায় দাদু অমিতাভের সঙ্গে ঋতুস্রাব নিয়ে আলোচনা করলেন নাতনি নভ্যা!
মিথিলা লিখেছেন, ‘যাহা দিলাম তাহা উজাড় করিয়াই দিলাম। এখন ফিরিয়া তাকাইতে গেলে দুঃখ পাইতে হইবে। অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মতো এমন বিড়ম্বনা আর নাই।’
স্ট্যাটাসটি দেওয়ার প্রায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে প্রায় হাজারখানেক মন্তব্য পড়েছে। আর এর মধ্যে বেশিরভাগ মন্তব্যই নেতিবাচক। আর মুহূর্তের মধ্যে সেই স্ট্যাটাসটি শেয়ারও হয়েছে অনেক। স্ট্যাটাসটিতে যে ধরনের মন্তব্য পরেছে তা সংবাদে তুলে ধরবার মতো নয়।
এই বিষয়টি নিয়ে মিথিলার কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া না গেলেও কথা বলেছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের উপ-কমিশনার আ ফ ম আল কিবরিয়া।
তার ভাষ্য, ‘সাইবার ক্রাইম একটি জঘন্য অপরাধ। অনেক সময় ভুক্তভোগীরা আমাদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানান আবার তারা না জানালেও আমরাও এসব অপরাধীদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে অপরাধ কোন ধরনের। আমরা চেষ্টা করি, প্রথমে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে। কিন্তু তাতে কাজ না হলে সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেই। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, পরিবার থেকেই সামাজিক সচেতনতার শিক্ষা দিতে হবে। এটা আমাদের সবার প্রথম কাজ। তাহলে সাইবার বুলিং অনেকটাই কমে আসবে।’