স্বামীকে বশে রাখার পরামর্শ দেওয়াই যে নারীর পেশা!
শুনতে একটু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, এমনই অদ্ভূত এক পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বাসিন্দা মার্গারিটা। সে নিজেকে দাবি করেন, একজন স্বঘোষিত ‘জীবনশৈলী শিক্ষিকা’ হিসেবে।
মার্গারিটা নাজারেঙ্কো বয়স ৩৪ বছর। তিনি মনে করেন, নিজের স্বামীকে নিজের বশে রাখা দোষের কিছু নয়। আর এই শিক্ষাটা সব নারীরই থাকা উচিত। এইজন্য তারববিভিন্ন কোর্স রয়েছে। যা তিনি আগ্রহী নারীদের শিখিয়ে থাকেন।
এই বিষয়ে মার্গারিটা বলেন, আসলে স্বামীকে তখনই বশে রাখা যায়, যখন কোনো নারী তার ব্যক্তিত্বে প্রকৃত নারীত্ব ফুটিয়ে তুলতে পারেন। আর সেই নারীত্বের বিকাশের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে পুরুষসঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণ করার মূল মন্ত্র।
আর এই গোটা বিষয়টি বোঝাতে তিনি নারীর ধরনকে তিনটি প্রাণীর স্বভাবের সাথে তুলনা করেছেন। যার মধ্যে প্রথম প্রাণীটি হলো হরিণ, এটি চঞ্চল নারীচরিত্রের প্রতীক। দ্বিতীয় প্রাণী গাভী, যা ঘরোয়া কাজকর্ম করতে পছন্দ করা নারীর প্রতীক। আর তৃতীয় প্রাণীটি হলো ঘোটকী। যে নারীরা ঘর আর বাইরে সমান পারদর্শী ও কর্মঠ, তাদের প্রতীক হলো এই ঘোটকী।
আর মার্গারিটার মতে, এই ঘোটকী নারীদের গুণের কারণেই স্বামীরা তাদের বশে থাকে। তিনি নিজেকে একজন ঘোটকী বলেই দাবি করেন। এর ভালো দিক অনেক। এমন নারীদের স্বামীরা কখনই কোনো বাজে অভ্যাস যেমন মদ, জুয়া, পরকীয়া, সিগারেটে আসক্ত হয় না। পাশাপাশি নিজের স্বামীকে বিভিন্ন ভালো কাজেও অনুপ্রাণিত করা যায়।
আর মার্গারিটা এর উদাহরণ হিসাবে নিজের স্বামীর কথা তুলে ধরেন। তার স্বামী পেশায় চিকিৎসক এবং তিনি তার স্বামীকে আমেরিকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন, তাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজে পথ দেখান। যা তার স্বামীর কর্মজীবনে বেশ সাফল্য বয়ে এনে দিয়েছে।