সন্তানের প্রতি বাবা মায়েদের যে ১০টি ভুলের জন্য শেষে অনুশোচনা করতে হয়।
সন্তানের প্রতি বাবা মায়েদের যে ১০টি ভু,লের জন্য শেষে অনুশোচনা করতে হয়, চলুন আমরা এসব ভোল থেকে বাচার উপাই জেনে নেই
অনুলিপি ডেস্কঃ বাবা মায়েদের যে ১০টি ভুল, পৃথিবীতে সব ধরনের ভালোবাসা থেকে শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা হচ্ছে পিতা-মাতা ও তার সন্তানের মধ্যে। সব ভালবাসার মধ্যে স্বার্থ থাকলেও মা বাবার ভালোবাসার মধ্যে কোন স্বার্থ নেই। তাইতো নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসা দিয়ে থাকে পিতা-মাতা তার সন্তানদের প্রতি। কিন্তু অনেক পিতা-মাতা সন্তানদের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে সন্তানদের ক্ষতি করে ফেলে। সব বাবা-মা তার সন্তানদের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে থাকেন। ছোটবেলায় শিশুদের একটি জনপ্রিয় বাহন হলো খেলনার জিনিস। এই খেলনার জিনিস বাচ্চাদের কিনে দিতে অনেক বাবা-মা একটু বেশি পরিশ্রমও করেন। আবার অনেক বাবা-মা তার সন্তানদেরকে খেলনা কিনে দিতে রাজি নন। ছোটবেলা থেকেই তার সন্তানকে নিয়মানুবর্তিতা এবং স্থির লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য শি’শুকে সেই পথেই পরিচালিত করেন। মাঝেমধ্যে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়।
খুব অল্প সংখ্যক বাবা মা তার সন্তানের আনন্দের জন্য সব উজাড় করে দেন এবং শি’শুদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকে নিতে সাহায্য করেন। সব বাবা মায়েরই স্বপ্ন থাকে সুসন্তান হিসাবে গড়ে তোলার। কিন্তু শি’শুকে গড়ে তোলার সময় তারা এমন কিছু ভুল করে বসেন যার জন্য ভবিষ্যতে তাদের অনুশোচনা করতে হয়। ছোটবেলায় তাদের হেসে খেলে কা’টানোর সময়। তাইতো শি’শুর প্রথম কয়েক বছর জাদুর মত কে’টে যায়। ছোটবেলায় ছেলেমেয়েদের মানসিক বিকাশ ঘটে থাকে এবং সে চিন্তা করে ভবিষ্যতে সে তার পিতা-মাতা, পরিবার, এবং পৃথিবীর জন্য কি করবে? এই সময় তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ভবিষ্যৎ জীবনের উপর দাগ কে’টে দেয়। আর সেই সকল সমস্যাগুলোর জন্য অনেক সময় দায়ী থাকে তার পিতা-মাতার আচরণg আসুন তাহলে দেখে নেই, সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের যে ১০টি আচরণের কথা যা ভবিষ্যতে অনুশোচনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাবা মায়েদের যে ১০টি ভুল নিচে দেওয়া হলো
১. শিশুর গুরুত্বপূর্ন সময় কাছে থাকুন > জীবনে এমন কিছু বিশেষ দিন রয়েছে যা প্রিয় মানুষটিকে কাছে পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকে। ঠিক তেমনি সন্তানদের নিকট অনেক প্রিয় বাবা-মা। সে অপেক্ষায় থাকে সেই দিনগুলোতে তার বাবা-মা তার পাশে থাকবে। যেমন জন্মদিন, পুজো বা স্কুলে কোন অনুষ্ঠান। এই সময় গুলোতে তাদের সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করুন। নাহলে তারা খুব একাকীত্ব বোধ করে, অসহায় হয়ে পড়ে।
২.শি’শুদের যথেষ্ট আনন্দের ব্যবস্থা করেন না> কোমলমতি শি’শুদের মন সবসময় আনন্দ খুঁজে বেড়ায়। তারা খেলতে চায়, হাসতে চায়, বেড়াতে যেতে চায়। দুঃখ ভারাক্রান্ত শৈশব নিয়ে বেড়ে ওঠা শি’শুরা আনন্দের মাঝে বেড়ে ওঠা শি’শুদের চেয়ে ভবিষ্যতে অনেক পিছিয়ে থাকে। কারণ তার মানসিক বিকাশ পরিপূর্ণ হয় না তাদের। এজন্য তাদের আচার আচরণ এবং গতি প্রকৃতি স্বাভাবিক হয় না। তারা আপনার সাথেও খা’রাপ আচরণ করতে পারে। এমনও হতে পারে আপনাকে সে ছেড়েই চলে যাবে।
৩. শি’শুদের সাথে ছবি না তোলা> ছবি তোলা আর এমন কি! চাইলেই এখন ছবি তোলা যায়। শুধু ছবি কেন? ভিডিও করতেও কি খুব ক’ষ্ট করতে হয়? ছোট্ট এই কাজটি শি’শুর মানসিক পূর্ণতা তৈরিতে সাহায্য করে এবং বাবা মায়ের প্রতি তার ভালোবাসা আরো গভীর করে তোলে। শৈশবের এসব স্মৃ’তি পরবর্তী জীবনে বাবা মায়ের প্রতি তাকে আরো দায়িত্বশীল করে তোলে।
৪.শিশুর মতামতকে গুরুত্ব দিন> শিশু কথা শুনুন। মনোযোগ দিয়ে শুনুন।তা যতই হালকা হউক না কেন। শিশুর কথা তার সামনেই হেসে উড়িয়ে দিবেন না। আবদার করলেই সাথে সাথে বাদ দিবেন না। কেন বাদ দিবেন গা শিশুকে বুঝিয়ে দিন। এতে ভবিষ্যৎ এ সে যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করতে শিখবে।
আরো পড়ুন: পছন্দ করুন একটি পালক, আর মিলিয়ে নিন আপনার চরিত্র
৫. অন্যের কথায় কান দেবেন না – সমাজে অনেক রকম মানুষ আছে, আর তাদের অনেক রকম চাওয়া। ভিন্ন মানুষ ভিন্ন উপদেশ দেবে। এর কোনটাই ছোট্ট শিশুটির উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তাকে তার মত করে বড় হয়ে উঠতে দিন।
৬.শিশুদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি না দেওয়া – শিশুদের প্রতি সব সময় দৃষ্টি রাখা জরুরি। তারা কি করছে তা নজর রাখা, তাদের সব সময় সঙ্গ দেওয়া ইত্যাদি। নাহলে তারা একাকীত্বে ভুগতে থাকে। আর এটা তাদের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর।
৭. শিশুর সৃজনশীলতারর প্রতি নজর না দেয়া> প্রত্যেক শিশু স্রষ্ঠা প্রদত্ত কিছু বা কিছু গুণ নিয়ে আসে। আপনি যখন বাচ্ছার মধ্যে থাকা গুণ আবিষ্কার করবেন এবং তার পরিচর্যা করবেন,ভবিষ্যৎ এ হয়তো সে বড় কিছু হয়ে উঠবে যদি তা নাও হয় তবে সে নিজেকে নান্দনিক ভাবে গড়ে তুলবে। সে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করবে এবং সাহায্য করার মনোভাব গড়ে তুলবে।
৮. শি’শুদের যথেষ্ট আনন্দের ব্যবস্থা করেন না> কোমলমতি শি’শুদের মন সবসময় আনন্দ খুঁজে বেড়ায়। তারা খেলতে চায়, হাসতে চায়, বেড়াতে যেতে চায়। দুঃখ ভারাক্রান্ত শৈশব নিয়ে বেড়ে ওঠা শি’শুরা আনন্দের মাঝে বেড়ে ওঠা শি’শুদের চেয়ে ভবিষ্যতে অনেক পিছিয়ে থাকে। কারণ তার মানসিক বিকাশ পরিপূর্ণ হয় না তাদের। এজন্য তাদের আচার আচরণ এবং গতি প্রকৃতি স্বাভাবিক হয় না। তারা আপনার সাথেও খা’রাপ আচরণ করতে পারে। এমনও হতে পারে আপনাকে সে ছেড়েই চলে যাবে।
৯. শি’শুদের আলিঙ্গন না করা> গবেষকরা দেখেছেন, শি’শুদের মানসিক এবং শারীরিক বিকাশের জন্য বাবা মায়ের আলিঙ্গন খুব জরুরি একটি বিষয়। অজ্ঞতা কিংবা কাজের চাপে শি’শুকে আলিঙ্গন করতে ভুলে যান অনেক বাবা মা। এতে তাদের মধ্যে শূন্যতাবোধ সৃষ্টি হয়।
১০. শিশুদের প্রতি কঠোর আচরণ করেন: শিশুরা ফেরেশতা নয় যে ভুল করবে না। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে নিতেই একদিন সে পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠে। কিন্তু রূঢ় আচরণ কোনো শিশুই নিতে পারে না এবং তার কোমল মনে বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়। তাই তাকে তিরস্কার না করে একটু কৌশলী আচরণ করে তার ভুল ধরিয়ে দিন। অন্যথায় তিক্ততা বাড়তে বাড়তে একসময় আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।