মাত্র দু-মিনিট সময় লাগবে গল্পটি পড়তে, মিস করলে জীবনের অনেক কিছু অজানা থাকবে
জীবনে আমরা কতইনা গল্প পরি। তবে এমন গল্প খুব কমই পড়ি, যেগুলা থেকে কিছুটা হলেও শিখতে পারি। আজ আপনাদেরকে একটি শিক্ষনীয় গল্প বলব, যা থেকে আপনি কিছুটা হলেও শিখতে পারবেন। হাতে ১মিনিট সময় থাকলে গল্পটি পড়তে পারুন

শিক্ষনীয় গল্প: সাইকোলজির টিচার ক্লাসে ঢুকেই বললেন, আজ পড়াবো না। স্যারের এমন কথা শুনে সবাই খুব খুশি। টিচার ক্লাসের মাঝে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসলেন। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে, গল্পগু’জব করার মতো একটা পরিবেশ। স্টুডেন্টদের মনেও পড়াশোনার কোনো চাপ নেই।
টিচার খুব আন্তরিকতার সাথেই ক্লাসের একটি মেয়েকে বললেন, জননী, তোমার কি বিয়ে হয়েছে? মেয়েটি একটু লজ্জা পেয়ে বললো হ্যাঁ স্যার। আমার একটা দুই বছরের ছেলেও আছে। টিচার চট করে উঠে দাঁড়ালেন। খুব হাসি হাসি মুখ নিয়ে বললেন, আমরা আজ আমাদের একজন প্রিয় মানুষের নাম জানবো। এই কথা বলে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললেন, মা আজকে তুমিই টিচার, এই নাও চক-ডাস্টার।
যাও বোর্ডে গিয়ে তুমি তোমার প্রিয় দশ জনের নাম লেখ! মেয়েটি বোর্ডে গিয়ে দশ জন মানুষের নাম লিখলো। টিচার বললেন, এঁরা কারা? তাঁদের পরিচয় ডান পাশে লেখো। মেয়েটি তাঁদের পরিচয় লিখলো। সেখানে সে তার বাবা-মা এবং তার স্বামী-সন্তান সহ আশেপাশে কয়েকজন প্রতিবেশীর নাম ও দুজন কাছের বন্ধুর নাম লিখল।

এবার টিচার বললেন, লিস্ট থেকে পাঁচজনকে মুছে দাও। মেয়েটি তাঁর প্রতিবেশী আর বন্ধুর নাম মুছে দিল। টিচার একটু মুচকি হেসে বললেন, আরো তিন জনের নাম মোছো। মেয়েটি এবার একটু ভাবনায় পড়লো। ক্লাসের অন্য স্টুডেন্টরা এবার সিরি’য়াসলি নিলো বিষয়টিকে। টিচার খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছেন মেয়েটার সাই’কো’লজি কিভাবে কাজ করছে।
এই গল্পটি আপনার জন্যঃ একটি ইঁদুর এক চাষীর ঘরে গর্ত করে লুকিয়ে থাকতো, একদিন ইঁদুরটি দেখলো চাষী ও তার স্ত্রী থলে থেকে কিছু একটা জিনিস…
মেয়েটির হাত কাঁপছে, সে ধীরে ধীরে তার বেস্ট ফ্রেণ্ডের নাম মু’ছলো। তার সাথে বাবা আর মায়ের নামও মুছে দিলো। এখন মেয়েটি রীতিমতো কাঁ’দছে। যে মজা দিয়ে ক্লাস শুরু হয়েছিল, সে মজা আর নেই। ক্লাসের অন্যদের মধ্যেও টান টান উ’ত্তে’জনা। লিষ্টে আর বাকি আছে দুজন। মেয়েটির স্বামী আর সন্তান।
টিচার এবারে বললেন আর একজনের নাম মোছো। কিন্তু মেয়েটি ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো। কারোর নাম সে মুছতে পারছে না, টিচার বললেন, মা গো, এটা একটা খেলা। সাইকোলজির খেলা। জাস্ট প্রিয় মানুষদের নাম মুছে দিতে বলেছি। মেরে ফেলতে তো বলিনি। মেয়েটি কাঁ’পা কাঁ’পা হাত নিয়ে তার সন্তানের নাম মুছে দিলো।
টিচার এবার মেয়েটির কাছে গেলেন, পকেট থেকে একটা গিফ্ট বের করে বললেন, তোমার মনের উপর দিয়ে যে ঝড়টা গেলো তার জন্য আমি দুঃখিত। আর এই গিফ্ট ‘বক্সে দশটা গিফ্ট আছে। তোমার সব প্রিয়জনদের জন্য। এবারে বলো কেন তুমি অন্য নামগুলো মুছলে।
মেয়েটি বললো, প্রথমে বন্ধু আর প্রতিবেশীদের নাম মুছে দিলাম, তবুও আমার কাছে বেস্ট ফ্রেণ্ড আর পরিবারের সবাই রইলো। পরে যখন আরও তিনজনের নাম মুছতে বললেন, তখন বেস্ট ফ্রেণ্ড আর বাবা মায়ের নাম মু’ছে দিলাম, কারন বাবা মা তো আর চিরদিন থাকবে না। আমার বেস্ট ফ্রেণ্ড না থাকলে কি হয়েছে?
আমার কাছে আমার পুত্র আর তার বাবাই বেস্ট ফ্রেণ্ড। কিন্তু সবার শেষে যখন এই দুজনের মধ্যে একজনকে মুছতে বললেন তখন আর সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না, পরে ভেবে দেখলাম, ছেলে তো বড় হয়ে একদিন আমাকে ছেড়ে চলে গেলেও যেতে পারে। কিন্তু ছেলের বাবা তো কোনো দিনও আমাকে ছেড়ে যাবে না।
তাই নিজের জীবনস’ঙ্গীকে প্রাণ ভরে ভালোবাসুন। কারণ, তিনিই শেষ পর্যন্ত আপনার সাথে, আপনার পাশে থাকবেন। ধৈর্য ধরে পুরোটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।