আমাদের দেশে তো ভিন্ন ভিন্ন ধরণের লোক রয়েছে। অনেকধরণের লোক রয়েছে। এক একজনের বিভিন্ন ধরণের মানসিকতা রয়েছে। কেউ কেউ আছেন যারা প্রতিদিন কোনো কারণ ছাড়াই সংসময় খিট খিট করতে থাকে। তবে এটা যে শুধু তার স্বভাব তা নয়। এটা একটা রোগও। বদমেজাজ অনেকসময় অপুষ্টি জনিত কারনে দেখা দেয়, আবার মানসিক অবসাধানের কারনেও দেখা দেয়।
মানুষ যদি অপুষ্টি জনিত খাবার খায় তখন তার শরীরের অক্ষমতা শুরু করে। ফলে এমনিতেই সে রেগে যায়। 3০% থেকে 8৫% মানুষ বদমেজের হয়ে থাকে। বদমেজাজ এর প্রথমত কারণ হলো: বাবা-মার অনাদর, বেকারত্ব, প্রিয়জন হারানো, প্রেমের ব্যর্থতা, ফলে অধিকাংশ মানুষের খিটখিটে মেজাজ হয়ে যায়। কেমন মানুষের খুবই খারাপ অভ্যাস বদ মেজার। চলুন জেনে নেওয়া যাক বদ মেজাজা থেকে মুক্তির উপায়।
বমেদজাজ থেকে মুক্তির উপায়ঃ
১. চাপ কমাতে কোরআন তেলাওয়াত শোনা, বই পড়া ইত্যাদি কাজ করতে পারেন।
২. মানসিক চাপ কমানোর একটি চমৎকার উপায় হলো ব্যায়াম। এ ক্ষেত্রে হাঁটা, দৌড়ানো এই বিষয়গুলো করতে পারেন। এমনকি ঘুমাতেও পারেন।
৩. টেনশন কমাতে হাসি ঠাট্টার জুরি মেলা ভার। তবে নিজের চাপ বা রাগ কমাতে গিয়ে অন্যের অনুভূতিকে আঘাত করে ব্যঙ্গ না করাই ভাল।রাগ বা বদ মেজাজ কমানোর জন্য হাসিখুশি থাকা উত্তম।
৪. কী কারণে আপনি রেগে যাচ্ছেন সে বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে তা নিয়ে মনোযোগী হোন। বাচ্চারা ঘর অগোছাল করে রাখে বলে বিরক্ত হচ্ছেন? দরজা বন্ধ করে দিন। আপনার পার্টনার কি রোজ ডিনারে দেরি করে আসেন? সন্ধ্যে বেলা একটু ভারী খাবার খেয়ে পেট ভরিয়ে রাখুন। রাতের খাওয়াটা মাঝে মাঝে একা একা খাওয়ায় প্রাকটিস করুন।
আর পড়ুনঃ ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন এই ৩টি উপায়
৫. যদি আপনার চড়া মেজাজে লাগাম পবাতে অসুবিধা হয়, তাহলে জোরে জোরে গভীর নিঃশ্বাস ফেলুন। মজার কোনও দৃশ্য ভাবুন। গান শুনুন, বই পড়ুন, আপনার আদতে যা যা করতে ভাল লাগে সে দিকে বেশি করে মন দিন।
৬. আপনি কি জানেন, সূর্যের আলোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ‘ডি’? আর আপনি কি এটা জানেন যে ভিটামিন ‘ডি’র মধ্যে রয়েছে মেজাজ ভালো করার উপাদান?
ত্বক সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এলে শরীর ভিটামিন ‘ডি’ পায়। তবে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টার রোদে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি বেশি থাকে। এ সময় সূর্যের আলোর সংস্পর্শে না যাওয়াই ভালো।