ফিচার

বাঁশের লবণ এত দামি? এর বিশেশ্বত কি

মাত্র ২৫০ গ্রাম লবণের দাম ১০ হাজার টাকার বেশি । শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও এটি সত্য। কোরিয়ানদের বাসের লবণ কিনতে আকাশ ছোঁয়া দামের প্রয়োজন হয়। এ লবন তৈরি করে প্রক্রিয়া টি জটিল ও কষ্টকর। লবণ রাখার জন্য বাঁশগুলোকে এমন ভাবে কাটা হয় যেন, লবণ রাখা সম্ভব। সমুদ্র থেকে সংগ্রহ করা লবণ বাঁশের নলে রাখা হয়। এরপর লবণ ভরা বাঁশের ছোট টুকরোগুলো বিশাল বড় একটি চুলার মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

চুলাতে আগুন ধরানোর জন্য ব্যবহৃত হয় পাইন গাছের গুঁড়ি। এই আগুনের তাপমাত্রা থাকে প্রায় এক হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াস। একদিন বাঁশের টুকরো গুলো উচ্চতা তাপমাত্রায় পড়ানো হয়। দীর্ঘ সময় আগুনে পোড়ানোর কারণে বাশঁ গুলো ছাই হয়ে যায়। চুলা থেকে বাহির করার পর বাশেঁর গায়ে লেগে থাকা লবণ মুছে নেওয়া হয়। একইভাবে আবার বাঁশের ছোট টুকরোর মধ্যে পোড়া লবণগুলোকে ঢোকানো হয়।

তারপর একইভাবে চুলাতে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা ধরে পোড়ানো হয়। এভাবে বাঁশগুলো প্রায় নয় বার পোড়ানো হয়। এতবার পোড়ানোর কারণে বাঁশে থাকা খনিজ উপাদান, ঢাকনা হিসেবে মাটিতে থাকা পুষ্টি এবং পাইন গাছে থাকা পুষ্টিকর পদার্থ লবণে সাথে মিশে একাকার হয়ে যায়। চুলার নিচে একটি লোহার কন্টেইনার রাখা হয়। তখন লবণ গুলা পাথর হয়ে যায়।

আরো পড়ুন: রান্নায় তরকারিতে লবণ বেশি হলে করণীয়

এরপর শ্রমিকেরা বড় আকারের এই লবণের টুকরোকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুড়ো করতে থাকে। লবণ গুড়া করার সময় মিহি হয়ে যায়। মিশিনের সাহায্য প্যাকেট করে। এ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় ৩০ দিনের মতো সময় লাগে। এভাবে তৈরি হয় পৃথিবীর সবচেয়ে দামি লবণ। টি উৎপাদন করার জন্য প্রায় সকল প্রক্রিয়া হাতে সম্পন্ন করা হয় বলে এ লবণ এত দামি। এটি তৈরি করতে খুব সতর্ক থাকতে হয়।

কেননা সামান্য ভুল হলেই পুরো প্রক্রিয়াটি বরবাদ হয়ে যেতে পারে। এটিতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো মূল্যবান খনিজ পদার্থ, যা আমাদের হজমে সাহায্য করে এবং দাঁত ভালো রাখে। এছাড়া, এই লবণ ঔষধ তৈরিতেও কাজে লাগে।

বাংলাদেশের এবং বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।