
ব্রাজিল এবং জার্মানি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের একে অন্যের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়, তা সবার মনে থাকারই কথা। কেননা ব্রাজিল সেই খেলাই ৭-১ গোলের ব্যবধানে হারে। যা ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে অসাধারণ ফলাফলগুলির একটি হিসাবে গণ্য করা হয়। এখন আপনাকে যদি বলা হয় বাংলাদেশ এর কাছে ৭-০ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল।
আপনি কি বিশ্বাস করবেন? অবশ্যই আপনি কথাটি উড়িয়ে দিবেন। ভিত্তিহীন ও অবিশ্বাস্য মনে না হলেও তেমনটি ঘটেছিল ১৯৯০ সালে। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ থেকে বাংলা একাদশ নামের একটি দল যায় ডানা কাপ(Dana Cup) এবং গথিয়া কাপ খেলতে, এমনটি জানান যমুনা টিভির বিশেষ আয়োজন ইইউ’র গণমাধ্যম উপদেষ্টা তৌহিদ ফিরোজ।
তিনি জানান, ফাইনালে দেখা হয়েছিল বাংলা একাদশ এবং ব্রাজিলের। ব্রাজিলের বিখ্যাত হলুদ জার্সিতেই মাঠে নেমেছিল ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-১৪ দলের ফুটবলাররা। সেই ম্যাচ ঘটল অঘটন। বাংলা একাদশ এর কাছে ৭ গোলে হেরেছিল ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-১৪ দল। তিনি আরো বলেন, সেই অবিস্মরণীয় জয় নিয়ে বাংলাদেশে তোলপাড় পড়ে যায়।
কিন্তু টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা ছিল অনূর্ধ্ব ১৪ বা ১৫। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সত্যিকারের বয়স ছিলো তাদের থেকেও কিছুটা বেশী। তবুও তারা খেলতে পেরেছিল, কারন তাদের অফিশিয়াল বয়স ছিল ১৫ বছরের কম। তাই তাদের খেলতে কোনো বাধা ছিল না।
উল্লেখ্য যে, ২০১৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপে জার্মানি ৭-১ গোলে হারিয়েছে ছিলো ব্রাজিলকে। জার্মানির ৭-১ গোলের জয় যেকোন ফিফা বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যে কোন দলের জয়গুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। এই ম্যাচে জার্মানি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলগত ভাবে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড করে, তাদের ২২৩ গোল ব্রাজিলের ২২১ গোলের রেকর্ড অতিক্রম করে যায়।
এই ম্যাচে জার্মানির পক্ষে দ্বিতীয় ও নিজের ১৬ তম গোল করে ব্রাজিলের রোনালদোর করা এককভাবেই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পূর্বের রেকর্ডটি ভাঙ্গেন মিরোস্লাভ ক্লোসা। এই ম্যাচ হারে ব্রাজিল নিজেদের মাটিতে টানা ৬৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভাঙ্গে।
তারা সর্বশেষ ১৯৭৫ সালে নিজের মাটিতে কোপা আমেরিকার ম্যাচে পেরুর কাছে ১-৩ ব্যবধানে হেরেছিল এবং ১৯২০ সালে উরুগুয়ের কাছে তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারার রেকর্ড এদিন ছাড়িয়ে যায়,যার ফলে এটিকে একটি জাতীয় অপমান হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
যমুনা টিভির সেই প্রতিবেদনঃ
তথ্যসূত্র: যমুনা টিভি ও উইকিপিডিয়া।