টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা
টক দই পছন্দ করে না এমন কোন মানুষ নেই। কম বেশি টক দই সবাই পছন্দ করে। টক দই মূলত দুধ থেকে বানানো হয়। প্রত্যেকটি জিনিসের উপকার এবং অপকার দুটোই রয়েছে। ঠিক তেমন এই টক দইয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। আসুন আজ টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই…
টক দই এর উপকারিতা: টক দই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। এতে ল্যাক্টোব্যাসিলাস অ্যাসিডোফিলাস নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত উপকারী এটি শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
আমাদের দেহের রক্তে যে সকল খারাপ কোলেস্টরেল গুলো রয়েছে সেগুলো কমানোর ক্ষেত্রে অনেকাংশে ভূমিকা রাখে টক দই। আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টক দইয়ের জুড়ি নাই । ঠান্ডা সর্দি ও জ্বর না হওয়ার জন্য টক দই ভালো কাজ করে। টক দই এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। এসব উপাদান হাড় ও দাঁতকে মজবুত করতে সাহায্য করে । টক দইয়ের আমিষ দুধের থেকে সহজে হজম হয়। তাছাড়া যাদের দুধের হজমে সমস্যা রয়েছে তারা দুধের পরিবর্তে টক দই খেতে পারেন।
টক দই এর অপকারিতা: রাতে টক দই খেলে আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যারা নিয়মিত টক দই খেয়ে থাকে তারা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যায় ফলে শরীরের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। বাতের সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য দই খাওয়া বিষের মতো। কারণ এই মানুষদের দই খেলে জয়েন্টের ব্যথার সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
আরো পড়ুন: মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
যার কারণে নানা সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তারা দই খেতে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেকের ধারণা টক দই খেলে পেটে এসিড এর উৎপত্তি হয়। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও সত্যি নয়। বরং টকদই পেটে গ্যাস বা এসিড হওয়া অনেকটাই রোধ করে। মাংস খাওয়ার পর টকদই খাওয়া আরো ভালো কারণ টকদই আমিষ জাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে থাকে।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।