যারা বাচ্চাকে সাড়ে ৩-৪ বছরে স্কুলে দিবেন ভাবছেন, তাদের জন্য খুবই জ’রুরী এই পোস্টটা

আমাদের দেশের স্কুল মানেই একেবারে সিরিয়াস লেখাপড়া। আর আপনারা এখন খেলার ছলে শিখাচ্ছেন তাই শিখছে। স্কুল মানেই ৩টা সাবজেক্ট। যেগুলার ডেইলি হোম ওয়ার্ক থাকবে। ডেইলি স্কুলে লিখাবে। এরপর কিছুদিন পরপর পরীক্ষা! যে কারনে বাচ্চাদের স্কুলের পড়ালেখার প্রতি এক ধরনের অনিহা চলে আসে।
এরপর বাচ্চা যখন অনিহা দেখাবে তখন শুরু করবেন মারামা’রি। আবার স্কুলও শুরু করবে বাচ্চার রেজাল্ট ভালো হচ্ছে না এই সব কথা-বার্তা। এরপর মা হতাশ, বাবা, হতাশ, বাচ্চা আরো হতাশ। এই থেকে তৈরি হয় মানসিক ভয়। মা বাবার মধ্যে অস্থিরতা।
সবার প্রথমে A,B,C,D শিখাবেন। কা’রন বাংলার চেয়ে ইংরেজি সহজে শিখে। এরপর ১,২,৩ শিখাবেন। বাচ্চা যখন ৩ লিখতে শিখবে, তখন সে অ,আ, আর ই শিখবে। ২ থেকে ই, আর ৩ থেকে অ, আ লিখতে শিখবে। এরপর 1.2.3 এইভাবে শিখাবেন।
৫ বছর আপনি ঘরে রেখে শিখানোটা উত্তম। এরপর তাকে নার্সারি তে দিয়ে দিবেন। তাহলে সে তাল মিলাতে পারবে ইনশাআল্লাহ। এই ছোট বাচ্চাদের উপর অত্যাচার করবেন না পড়ার জন্য। ছেলেমেয়ের বায়না সামলাতে কমবেশি সব মা-বাবাকেই হিমশিম খেতে হয়। খুব বকাঝকা করব, না আদর দিয়ে ভুলিয়ে রাখব? এই দো-টানায় সমস্যা আরো জটিল হয়ে যায়। একদিকে বকাঝকা করতে ভয় লাগে, কারণ এতে ছোট্ট শিশুটির মনে অভিমান জমে ওঠে।
আবার অন্যদিকে আদর করে বায়নার জিনিসটা দিতেও দ্বিধা হয়, কারণ এতে শিশুটি জেদি হয়ে যায়। শিশুর সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করলে এই দুটো ব্যাপারকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তা নিয়েই আপনাদের জন্য থাকলো কিছু বিশেষ টিপস।
প্রথম টিপসটা শুধু অভিবাবকদের জন্য। এখন যেহেতু বেশিরভাগ মা-বাবা দুজনেই চাকরি করি, সন্তানকে সময় দিতে পারি না, এই অপরাধবোধে সারাক্ষণ ভুগতে থাকে। তাই ছোট থেকেই সন্তান যা চায়, সেটা সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে ফেলি। কিংবা সারাক্ষণ দামি জিনিস দিয়ে ওর অভাব পূরণের চেষ্টা করি। এটা আসলে কোনো সমাধান না।
এটুকু মনে রাখুন- ভালোবাসা, মূল্যবোধ এগুলো ভিতর থেকে এমনিই গড়ে উঠবে। কোনো জিনিস দিয়ে সেটার রিপ্লেসমেন্ট হয় না। তাছাড়া আপনি নিজেও তো বড় হয়েছেন। কোনো জিনিস না পেয়ে দুঃখ পেয়েছেন, কেঁদেছেন। তারপর সব ঠিক হয়ে গেছে। এই প্রসেসে আপনার সন্তানও বড় হবে। আপনি শুধু পাশে থাকুন আর ওর যত্ন নিন।
ছোট থেকেই সন্তানের মধ্যে ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। ভালো অভ্যাস মানে শুধু ঠিক সময়ে খাওয়া আর ঘুমানো নয়। এর বাইরে গিয়ে একটু ভাবুন। ধরুন, শুক্রবার আপনার বাসায় আপনার ননদের মেয়ে এসেছে, আর ওর সাথে আপনার ছেলে খেলছে। দুজনে মিলে খেলার সময় বোনকে যেন ও নিজের খেলনা দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ভাই বা বোনের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার মানসিকতা ওর মধ্যে ধীরে ধীরে গড়ে তুলুন। তাহলে ওর মধ্যে বিশেষ কিছু চাওয়ার প্রতি অন্যায় আবদার করার প্রবণতা অনেকটাই কমে আসবে।
আরো পড়ুন: দিন দিন আত্মহত্যা প্রবণতা কেন বাড়ছে
ছোটবেলায় অনেক শিশুরই বিশেষ কিছু জিনিস যেমন গাড়ি, এরোপ্লেন, ট্রেন বা পুতুলের প্রতি আকর্ষণ থাকে। শপিং মলে বা অন্য কারো বাড়িতে বেড়াতে গেলে ওই জিনিসগুলো নেওয়ার জন্য খুব বায়না করে। এই সময় অন্যদিকে মনোযোগ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
বোঝানোর চেষ্টা করুন এটা এখন নেওয়া সম্ভব নয়, এগুলো পরেও নেওয়া যাবে। কিংবা তাকে এই সময়ে বাইরের কোনো কিছুতে জড়ানোর চেষ্টাও করতে পারেন। ছুটির দিনগুলোতে সন্তানেকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যান। তাহলে ঘোরা নিয়ে ওর আগ্রহ বাড়বে। আর ওর আগ্রহের ক্ষেত্রটা বাড়লে কোনো একটা জিনিস নিয়ে বায়না করার মনোভাব কমে যাবে। সূত্র: অনলাইন
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।