ডিজিটাল মার্কেটিং কী ও এর বিভিন্ন প্রকারভেদ!

আপনারা অনেকেই ইতিমধ্যে অবগত আছেন যে, বর্তমানে এই প্রযুক্তি বিপ্লবের সময়ে ডিজি,টাল মার্কেটিং একটা খুবই জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। আগের পোস্টে আমরা- ‘সফল ডিজিটাল মার্কেটার হওয়ার টিপস’ জেনেছিলাম। তো, আজকের পোস্টে আমরা জানব- ডিজিটাল মা,র্কেটিং কী ও এর বিভিন্ন প্রকারভেদ [What Is Digital Marketing & Types Of Digital Marketing!] সম্পর্কে। যারা ডিজি,টাল মার্কেটিং [Digital Marketing] সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহী, আশা করি তাদের কাজে লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
ডিজিটাল মার্কেটিং কী ও এর বিভিন্ন প্রকারভেদ [What Is Digital Marketing & Types Of Digital Marketing]:
মার্কেটিং জিনিসটা কী তা আশা করি সবাই একটু হলেও জানেন। সহজ কথায় কোনো কোম্পানির পণ্য, সার্ভিস কিংবা ব্যবসাকে কাস্টমারের কাছে প্রচার করাটাই হলো মার্কেটিং। ব্যবসায়িক স্বার্থে মার্কেটিং জিনিসটা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। প্রতিটা কোম্পানিই কাস্টমারের কাছে পৌঁছানোর জন্য, রেভেনিউ জেনেরেট করার জন্য মার্কেটিং এর ওপর নির্ভরশীল। বিগত শতকে মার্কেটিং এর কাজ চলত অফলাইনে, অফলাইনে মার্কেটিং এর নানা মাধ্যম ও কার্জক্ষেত্র এখনো প্রচলিত আছে।
কিন্তু বর্তমানে একুশ শতকে চলছে ডিজিটাল বিপ্লবের যুগ। এই যুগে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে তথা অনলাইনে বিচরণ করে। ফলে অনলাইন হয়ে উঠেছে, কোম্পানিগুলোর মার্কেটিং এর জন্য স্বর্গ-উদ্যান। কারণ অফলাইনে প্রচুর টাকা খরচ করেও যত কাস্টমারের কাছে পৌঁছানো যায় না, সেখানে তার চেয়ে কয়েক গুন কম টাকা খরচ করেই তুড়িতে কয়েকগুন বেশি কাস্টমারের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে। তো, আশা করি ডি,জিটাল মার্কেটিং কী সেটা অনেকেই আঁচ করে ফেলেছেন। ডিজিটাল মা,র্কেটিং [Digital Marketing] হলো, বিভিন্ন মাধ্যম ও টুলস ব্যবহার করে অনলাইন কিংবা ইন্টারনেটে কাস্টমারদের কাছে কোনো ব্যবসায় কোম্পানি, পণ্য কিংবা সার্ভিসের প্রচার করা।
অফলাইন মার্কেটিং এর তুলনায় অনলাইন / ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক চিপ কিন্তু অনেক বেশি ইফেক্টিভ। কারণটা একটু উদাহরণ দিয়ে বুঝানো যাক:
ধরুন আপনি একটা বুকশপ চালু করেছেন। এখন সেটার মার্কেটিং এর জন্য একটা টিভি অ্যাড ও একটা ব্যানার অ্যাড বানালেন। এগুলো বানাতে একটা খরচ গিয়েছে। এরপর আবার টিভি অ্যাডটা কোনো চ্যানেলে প্রচার করতে গেলে আপনাকে গুনতে হবে কয়েক লক্ষ টাকা। অন্যদিকে ব্যানার অ্যাডটা কোনো পত্রিকায় ছাপাতে গেলে সেদিকেও অনেক টাকা। এতকিছুর পরেও আপনার যা সেলস আসবে তা নিতান্তই কম। অন্যদিকে এগুলোতে খরচ করা টাকার ১০ ভাগের মাত্র ১ ভাগ দিয়ে যদি আপনি বুকশপের জন্য একটা ওয়েবসাইট খুলেন, তারপর ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি সাজান, ফেসবুক ও গুগলে ভালোভাবে বিজ্ঞাপন দেন, তাহলে দেখবেন আপনার ১০ গুণেরও বেশি সেলস জেনেরেট হচ্ছে। একারণেই বর্তমানে ডিজিটাল মার্কে,টিং স্ট্র্যাটেজি ছাড়া কোনো কোম্পানি কিংবা বিজনেস আগাতে পারছে না!
আরও পড়ুন: গরমে রোগ-বালাই এড়াতে যা করণীয়
যাই হোক ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে তো ধারণা পেলেন। এবার ডিজি,টাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন চ্যানেল কিংবা প্রকারভেদ সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।
ডিজিটাল মার্কে,টিং এর অনেক প্রকারভেদ আছে। সেখান থেকে আমরা এখন জনপ্রিয় ও প্রধান প্রধানগুলোর নাম জানব:
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন [Search Engine Optimization (SEO)]
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং [Search Engine Marketing (SEM)]
পে পার ক্লিক বিজ্ঞাপন [Pay-Per-Click Advertising (PPC)]
স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং [Social Media Marketing (SMM)]
কন্টেন্ট মার্কেটিং [Content Marketing]
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং [Affiliate Marketing]
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং [Influencer Marketing]
ইমেইল মার্কেটিং [Email Marketing]
ভাইরাল মার্কেটিং [Viral Marketing]
মোবাইল ফোনে বিজ্ঞাপন [Mobile Phone Advertising]
আরও পড়ুন:
এগুলো হলো ডিজি,টাল মার্কেটিং এর প্রধান প্রধান ক্যাটেগরিস। আমরা পরবর্তীতে সবগুলো ক্যাটেগরি নিয়েই একটা একটা করে ডেডিকেটেড পোস্ট দেবো। সেগুলো পেতে চাইলে অনুলিপিতে চোখ রাখুন।
ডিজি,টাল মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে, আপনার এখান থেকে যেকোনো একটাকে টার্গেট করে এগোতে হবে। চাইলেই আপনি সবজান্তা শমসের হতে পারবেন না! হওয়ার চেষ্টা করলে, সেটা হযবরল হবে, কাজের কাজ কিছুই হবে না! তবে কিছু কাজ রিলেটেড হওয়ার ফলে, কয়েকটা হয়তো একত্রে করতে পারবেন, তবু সেটাও অনেক কঠিন!
ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে যেকোনো ধরনের সাহায্য পেতে চাইলে- ‘ডিজি,টাল মার্কেটিং কমিউনিটি‘ গ্রুপে জয়েন করতে পারেন।