অতিরিক্ত ঘাম কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
গরম পড়লে কিংবা পরিশ্রম করলে ঘাম হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু ধরুন একই পরিবেশে আপনার পাশের ব্যক্তির চেয়ে আপনি অনেক বেশি ঘামছেন। তাহলে চিন্তার কারণ আছে বইকি! কারণ অতিরিক্ত ঘাম এর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে কোনও বিশেষ রোগের উপসর্গ।
তাই অবহেলা না করে আপনার অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কেউ অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে, নার্ভাস হলে কিংবা রোদে গেলে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। আবার পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও বেশি ঘাম হতে পারে। মসলাযুক্ত, ঝাল বা তৈলাক্ত খাবার অতিরিক্ত খেলেও বেশি ঘাম হতে পারে।
আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন- ব্রোকোলি, পেঁয়াজ, খাবারে অতিরিক্ত লবণ খেলেও ঘাম বেশি হতে পারে। আবার শারীরিক দুর্বলতা থেকেও ঘাম বেশি হয়। পাউডার ব্যবহার থেকেও ঘাম দূর করার পরিবর্তে তা আরও বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত ধূমপানও ঘামের কারণ হতে পাতে।
ঘামের সঙ্গে যেহেতু সোডিয়াম, পটাশিয়াম বাই-কার্বোনেট বেরিয়ে যায়, ফলে শরীর দুর্বল ও অস্থির হয়ে যায় তাই জলের সঙ্গে নুন, চিনি, পাতিলেবু মিশিয়ে সরবত খেলে ভাল হয়। গরমে দইয়ের ঘোল ও ডাব খেতে পারেন। কোল্ড ড্রিংকসের পরিবর্তে ফ্রেশ ফ্রুট জুস ও টাটকা ফল খান। ভিটামিন বি-১২’এর অভাবে যেহেতু হাইপারহাইড্রোসিস হয় তাই বি-কমপ্লেক্স যুক্ত খাবার খান।
আরো পড়ুন: গরমে ঘামাচি ও চুলকানির সমস্যা এড়াতে যা করা জরুরি
পাশাপাশি থাইরয়েড হয়েছে কি না তা রক্ত পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত। আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন – এসপারাগাস, ব্রকোলি, রেড মিট, সাদা পিঁয়াজ, খাবার লবণ যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত। চা-কফি কম খেতে হবে। ঘাম একটি শারীরবৃত্তীয় ব্যাপার।
বেশি ঘাম হলে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা তেমন নেই। তবে অস্বাভাবিক ঘাম রোগের লক্ষণ হতে পারে বলে আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো লক্ষ রাখা উচিত। খুব গরম আবহাওয়ায় বা রোদে বাইরে কাজ করলে অতিরিক্ত ঘামের কারণে পানিশূন্যতা হতে পারে, সে ক্ষেত্রে অবসন্ন বোধ করলে প্রচুর পানি বা স্যালাইন খেয়ে নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।