বুদ্ধি বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন

আমাদের শরীরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হল মস্তিষ্ক। মানুষের সবচেয়ে জটিল অঙ্গ হলে মস্তিষ্ক। অন্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্ক কাজ করে না, এর কাজের ধরন অন্যরকম। আমাদের মস্তিষ্কে ঠিকভাবে সবসময় কাজ করে না। মূলত বিভিন্ন দুশ্চিন্তা ও টেনশনের কারণে সঠিকভাবে বুদ্ধি কাজ করতে পারেনা।
তাছাড়া আমাদের বয়স হলে অনেক সময় স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। মানুষের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে এবং বাড়িয়ে তুলতে নানা উপায় নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর কিছু অব্যর্থ উপায়। এসব সমস্যা কমানো যায় মস্তিষ্কের নানা অনুশীলন, চর্চা ও সঠিক খাবারের মাধ্যমে।
তৈলাক্ত মাছ: তৈলাক্ত মাছ খেলে মস্তিষ্কে দারুন ক্ষমতা বাড়ে। মস্তিষ্কের জন্য তৈলাক্ত মাছ ভিষন উপকারী। যে মাছে বেশি পরিমাণ তেল থাকে সে সকল মাছ খেলে বুদ্ধি বাড়ে। বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছ : ইলিশ, গুরজাওলি, আড়, ম্যাকারেল, ভেটকি, পমফ্রেট, বোয়াল, চিতল, পাকা রুই ও কাতলা ইত্যাদি, থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, আয়োডিন, ভিটামিন ডি, ফসফরাস-সহ নানা খনিজ আমাদের মস্তিষ্ককে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। তাই বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য অধিক পরিমাণে তৈলাক্ত মাছ খাওয়া উচিত।
সবুজ শাক সবজি: দৈনিক খাদ্য উপাদানের মধ্য মানব জীবনের জন্য শাকসবজির গুরুত্ব অনেক। প্রাচীনকাল থেকেই, শাক সবজি দৈনন্দিন খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের সাথে শক্তিতে ভরপুর হওয়া তাদের প্রতিটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিকল্পনায় বাধ্যতামূলক সংযোজন করে তোলে। সবুজ শাকসবজি অধিক পরিমাণ খেলে আমাদের মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ মানুষের বুদ্ধির প্রসার ঘটে।
আরো পড়ুন:
আখরোট: আপনি হয়তো খেয়াল করে দেখেছেন আখরোটের গোটা মানুষের মস্তিষ্কের গঠনের মত। অর্থাৎআখরোটের গঠনের সঙ্গে মস্তিষ্কের গঠনের একটি মিল আছে। কেবল গঠনেই নয় এটি আমাদের মস্তিষ্কের জন্য উপকারীও। আখরোটে থাকে হেলদি ফ্যাট ও প্রোটিন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত আখরোট খাচ্ছেন তাদের শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়। যে কারণে মস্তিষ্ক সচল থাকে। তাই নিয়মিত আখরোট রাখুন খাবারের তালিকায়।
ফলের শরবত: ফলের শরবত খেলে আমাদের মস্তিষ্কের বুদ্ধির প্রসার ঘটে। বিশেষ করে, কমলা শরবত, স্ট্রবেরির শরবত,এছাড়া ডালিম খেলে ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক থাকে,যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করে। দুপুরে খাবারের আগে বা পরে ডালিমের শরবত খেলে মস্তিষ্ক সুস্থও স্বাভাবিক থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে। দুধের উপকারিতার কথা আমাদের বলার অপেক্ষা রাখে না। দুধের সাথে জাম মিশিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।