হারাম সম্পর্কে থাকা অবস্থায় ইবাদত কবুল হবে কি

নারী-পুরুষ পরস্পরের প্রতি দৃষ্টি বিনিময়েও ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট হুকুম। এ প্রসঙ্গে কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা সুস্পষ্ট নীতিমালা ঘোষণা করেছেন। পুরুষদেরকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন ‘(হে রাসুল! আপনি) মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখেন এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করেন। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তাআলা সে ব্যাপারে খবর রাখে’ (সুরা নুর: আয়াত ৩০)
তবে হারাম সম্পর্কে গুনাহের কারণ হলেও তা শিরক, কুফরি বা মুরতাদ হওয়া মত গুনাহ নয় যে, এ কারণে তার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে বা তার আমল কবুল হবে না। বরং এ অবস্থায়ও তার সালাত, সিয়াম, দান-সদকা, দুআ, কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য নেকির কাজ বরবাদ হয়ে যাবে না। বরং এগুলো সে যদি খালিস নিয়তে যথানিয়মে সম্পাদন করে তাহলে মহান আল্লাহ তা কবুল করবেন বলে আশা করা যায়।
আরো পড়ুন: যে ৫ দিন রোজা রাখা হারাম
কিন্তু হারাম রিলেশনের কারণে গুনাহগার হবে। এ ক্ষেত্রে করণীয় হল, অনতিবিলম্বে তওবা করে এ পথ থেকে ফিরে আসা। আল্লাহ আমাদেরকে সর্বপ্রকার পাপাচার থেকে তওবায়ে নাসূহা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবায়ে নাসূহা তথা আন্তরিক তওবা করো। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। (সূরা তাহরীম: ৮)
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।