অযথা বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিচ্ছেন? অপেক্ষ করছে যে ক্ষতি
বর্তমানে মোবাইল ফোনের এমন একটি অবস্থা হয়েছে যে বয়স্কদের থেকেও শিশুরা সবচেয়ে বেশি পারদর্শী। মোবাইল ফোনের শিশুরা মূলত ইউটিউবে কার্টুন ও গেম খেলে। শিশুদের শান্ত রাখা বা খাওয়ানোর জন্য অভিভাবকরাই সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল ফোন।
শিশু-কিশোরদের স্মার্টফোন আসক্তি নিয়ে অভিভাবকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বেশিরভাগ অভিভাবকই বলছেন প্রথম দিকে খাবার খাওয়াতে বা কান্না থামাতে সন্তানকে স্মার্টফোন দিলেও এখন আসক্তি হয়ে গেছে। মোবাইল না দিলে খেতে চায় না তারা। দিনের একটি বড় সময় ব্যয় করে মোবাইলে ভিডিও দেখে বা গেম খেলে।
১.গবেষকদের মতে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে শিশুদের এপিজেনেটিক্স রোগ। অর্থাৎ দীর্ঘ সময় চোখের খুব কাছে রেখে মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হওয়ার একধরনের জিনগত সমস্যা দেখা দেয়। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে মোবইল ফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার দৃষ্টিহীনতার কারণ হতে পারে।
মার্কিন ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন অ্যাসোসিয়েশন এর মতে, মোবাইলের নীলাভ আলো চোখের রেটিনার দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির মাধ্যমে অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। স্ক্রিনের ফন্ট সাইজ বড় করে, চোখ থেকে অন্তত ১৬ ইঞ্চি দূরে রেখে এবং একটু পরপর ২০ সেকেন্ডের জন্য স্ক্রিন থেকে চোখ ফিরিয়ে সবুজ গাছপালার দিকে তাকানোর মাধ্যমে এ সমস্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। তাছাড়া আপনার শিশু-সন্তানকে মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখুন।
আরো পড়ুন: ঘুমানোর সময় মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমানো কতটা ক্ষতিকর জানেন?
২.শিশু-কিশোরদের মধ্যে পারিবারিক মূল্যবোধ বিনষ্ট ও মা-বাবার উপদেশ না মানার প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। মোবাইলের কারণে অতিরিক্ত সেলফি তোলা বা সেলফিটিস নামের নতুন একটি মানসিক রোগ সৃষ্টি হয়েছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সুবিধার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক ভবন ও ফসলি জমিতে যে টাওয়ারগুলো নির্মিত হচ্ছে, সেগুলোর ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের ফলে মানব শরীরের পাশাপাশি গাছপালা, ফলফলাদি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ঘুমের সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশি আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, মোবাইল ফোন ব্রেন, মাথা বা গলার টিউমারের কারণ হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ মোবাইলের ব্যবহার স্মৃতিশক্তি ও হার্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।