ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়
যেহেতু ডায়াবেটিস রোগটি একবার হলে আর সারে না তাই সুস্থ থাকার জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। ঘরোয়া কিছু উপাদান আছে যেগুলো গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে কিছুটা বা অনেকখানি সহয়তা করে। আর এই ঘরোয়া উপাদানগুলোর মধ্যে অধিকাংশই আমরা আমাদের কিচেন থেকে অর্থাত্ খুব সহজে পেতে পারি। নিচে কিছু হোম রেমেডিস উল্লেখ করা হল। যেটি আপনার কাছে সহজ মনে হয় সেটি করুন।
ডায়াবেটিস গাছ গায়নূরা প্রোকাম্বেন্স: ‘গায়নূরা প্রোকাম্বেন্স’ নামের এ ওষধি গাছ ডায়াবেটিস সারাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। চীনে এন্টি ভাইরাস হিসেবেও এটির ব্যবহার আছে। ‘গায়নূরা প্রোকাম্বেন্স’ গাছটির বোটানিক্যাল নাম হলেও ইংরেজিতে একে ‘সাবুঙ্গা’ এবং চীনে এটিকে ‘জিয়ান ফেঙ উইই’ বলা হয়। যাদের ডায়াবেটিস, প্রেশার এবং কোলেস্টেরল আছে তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২টি পাতা সেবন করলে এসব রোগ থেকে বাঁচা যাবে। তবে যারা ইনসুলিন ব্যবহার করেন এবং গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত তাদেরকে সকালে খালি পেটে ২টি পাতা ও রাতে শোবার আগে ২টি পাতা সেবন করতে হবে।
শাকসবজি ও ভিটামিন জাতীয় খাবার: নিয়মকরে প্রতিদিন সবজি খাবেন। প্রয়োজনে মাছ-মংসের পরিবর্তে সম পরিমাণ সবজি খান। এতেও কিন্তু শরীর থাকবে সুস্থ আর ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শাক-সবজি খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়ম করে ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এতে হার্ট, চোখ সবই কিন্তু ভাল থাকবে ডায়াবেটিস কমাতে করলা একটি ভাল ঘরোয়া উপায়।
করলা ইনসুলিন-পলিপেপটাইড-পি সমৃদ্ধ, এটি হাইপারগ্লাইসেমিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা রাখে। করলাতে ক্যারোটিন এবং মমর্ডিসিন নামক দুটি প্রয়োজনীয় যৌগ থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ যৌগিক। ডায়াবেটিস কমাতে সপ্তাহে একবার করলা তরকারি হিসাবে ব্যবহার করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই রস একটি ছোট গ্লাস পান করুন। এটির সাহায্যে আপনি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবেন।
আরও পড়ুন: নাক-কান-গলায় কিছু ঢুকে গেলে কী করবেন জেনে রাখুন
নিম,আমলকি ও গ্রিন টির সেবন: নিম আরেকটি চমৎকার উপাদান রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি নিমের পাতা খালি পেটে খান। এটি ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির রোগীদের জন্য একটি উপকারী ঘরোয়া উপায়।প্রতিদিন দুই বেলা ২০ মিলিলিটার করে আমলকির জুস খাওয়া ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ভালো। এ ছাড়া প্রতিদিন দুই বেলা আমলকির গুঁড়াও খেতে পারেন। এটি রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই ভেষজ চা পেনক্রিয়াসের কার্যক্রম বাড়িয়ে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। তাই রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে একটি মাঝারি ওজন পেতে এবং সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দ্রুত হাঁটাচলা,ওজন উত্তোলন, দৌড়ানো, নাচ, হাইকিং, বাইক চালানো, এবং সাঁতার কাটা ইত্যাদি ব্যায়ামগুলো করতে পারেন।সেরা ব্যায়ামগুলোর মধ্যে একটি সহজ ব্যায়াম হচ্ছে হাঁটাহাঁটি করা। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটবেন। এটি ইনসুলিন মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। নিয়মিত ব্যায়াম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। তাছাড়া প্রি ডায়াবেটিস থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া থেকেও রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
বাংলাদেশের এবং বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।