যাকাত এর হিসাব করবেন যেভাবে
যাকাতের পরিচয়: ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্য যাকাত চতুর্থ নাম্বার স্তম্ভ। যাকাত আরবি শব্দ এর অভিধানিক শব্দ হচ্ছে পবিত্রতা। ইসলামের পরিভাষায় যাকাত বলতে ধনীদের ধন মালে আল্লাহর নির্ধারিত অংশকে বুঝায়। যাকাত দেওয়া প্রত্যক নর-নারীর উপর ফরজ, তবে যাদের নেসাব পরিমাণ সম্পদ আছে তাদের জন্য এটা ফরজ। যাদের জন্য যাকাত দেওয়া ফরজ, সম্পদের উপর পূর্ণাঙ্গ মালিকানা থাকতে হবে।
সারা বছরের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকলেই শুধু যাকাত ফরজ হবে। নিসাব পরিমান সম্পদ থাকতে হবে। যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য ঋণমুক্ত হওয়ার পরও হিসাব পরিমান সম্পদ থাকতে হবে। কারো কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ এক বছর থাকলেই শুধু ওই সম্পদের ওপর যাকাত দিতে হবে।
যাকাতের নিসাব: যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য সম্পদের নির্ধারিত পরিমাণকে যাকাতের নিসাব বলে। সারাবছর জীবনযাত্রার প্রয়ােজনীয় ব্যয় নির্বাহের পর যদি বছর শেষে কমপক্ষে ৭×১/২ সাড়ে সাত তােলা সােনা অথবা কমপক্ষে ৫২×১/২ তােলা রুপা অথবা এ পরিমাণ মূল্যের সম্পদ থাকে তবে তার জন্য যাকাত আদায় করা ফরজ। এ পরিমাণ সম্পদে সােনা, রুপা বা সম্পদের মূল্যের ১/৪০ ভাগ যাকাত দিতে হবে।
এটাই হচ্ছে যাকাতের নিসাব। এছাড়াও ফসল ও পশুর ওপর যাকাত ধার্য হয়। সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করে শতকরা আড়াই টাকা বা হাজারে ২৫ টাকা হারে নগদ অর্থ কিংবা ওই পরিমাণ টাকার কাপড়চোপড় বা অন্য কোনো প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দিলেও যাকাত আদায় হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫৭২, সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৬২৩)
ব্যাংকে সঞ্চয়কৃত টাকার যাকাত: কোনো ব্যক্তি সঞ্চয়ের জন্য যদি ব্যাংকে টাকা জমা রাখে, তাহলে ঋণমুক্ত অবস্থায় যেদিন তার জমাকৃত টাকা নিসাব পরিমাণ হবে, সেদিন থেকে এক বছর পূর্ণ হলে ওই টাকার ওপর যাকাত দিতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরী : ১/২৭০, মাহমুদিয়া : ৩/৫৭)
যাকাত দেওয়ার আটটি খাত: ১.ফকীর ২.মিসকিন ৩.যাকাত আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা ৪.নওমুসলিম ৫.বন্দিমুক্তি ৬.ঋণগ্রস্ত ৭.আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদ, মুবাল্লিগ, মুআল্লিম, মুতাআল্লিম ও ৮.মুসাফির। (সুরা আত তাওবা, আয়াত নং ৬০)
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।