অন্যান্য

প্রচন্ড গরমে ঘরকে যেভাবে শীতল রাখবেন।

আমরা অনেকেই গরম সজ্য করতে পারি না আজকের প্রতিবেধনে আমরা জানবো প্রচন্ড গরমে ঘরকে কিভাবে শীতল রাখবেন, তো চলোন জেনে নেওয়া জাক

অনুলিপি ডেস্কঃ সময় যত বাড়ছে সাথে দিনের তাপমাত্রা ততই বাড়ছে। তাই এই গরমে বাইরে যেমন লাগে অস্বস্থি, ঠিক তেমনি ঘরেও নেই এর থেকে মুক্তি। প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ঘেমে ভিজে একাকার হয়ে মানুষ ঘরে ফিরে আসে একটু শান্তির আশায় কিন্তু ঘরটাও যদি হয়ে উঠে গরম ও অস্বস্তিকর তবে দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। তাই প্রচন্ড গরমে ঘরকে ঠাণ্ডা রাখা প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কারণ সবার পক্ষে তো আর এয়ারকন্ডিশনার লাগানো সম্ভব নয়। একটু ভিন্নভাবে চেষ্টা করলেই এয়ারকন্ডিশনার ছাড়াই ঘরকে শীতল রাখা যায়।

১। ঘর ঠাণ্ডা রাখার জন্যে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে যতটা সম্ভব দুপুরের সূর্যের প্রখর তাপ ঘরে আসতে না দেয়া। সেক্ষেত্রে দক্ষিন ও পশ্চিম পাশের জানালা বা যেগুলোতে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে সেসব জানালার পর্দা বা উইন্ডো ব্লাইন্ড টেনে রাখুন এবং জানালাও বন্ধ রাখুন।
২। আপনার গৃহের কোন অংশটিতে সবচেয়ে বেশি বাতাস আসা যাওয়া করে তা খেয়াল করুন। কোন দিক দিয়ে বাতাস বেশি আসে তা চিহ্নিত করুন। তাহলে আপনি সেই অংশের জানালা খোলা রাখতে পারবেন। এর ফলে সূর্যাস্তের পরেও আপনার ঘরে বাতাস আসা যাওয়া করবে।

৩। পূর্ব ও পশ্চিমের জানালাগুলোতে ছায়া প্রদানের জন্য সানশেড বা ছাউনির ব্যবস্থা করুন। তাপ উৎপন্ন করতে পারে, বিকেলের দিকে এমন কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকুন।
৪। আপনার গৃহকে শীতল রাখার জন্য ঘরের চারপাশে গাছপালা লাগান। ছায়া দিতে পারে এমন গাছ পূর্ব-পশ্চিমে লাগালে আপনার গৃহে সূর্যের তাপ আলোকে প্রতিহত করবে। ঘরের চারপাশে ঘাস ও ঘাস জাতীয় গাছ থাকলে ঘরকে শীতল রাখে।
৫। বিছানার চাদর হিসেবে সাদা লিনেন কাপড় ব্যবহার করুন। বিছানার চাদর মোটা ও কারুকাজ থাকলে ঘাম বেশি হয়। সাদা ও হালকা রঙের কাপড় তাপ শোষণ করেনা বরং প্রতিফলিত করে। তাছাড়া হালকা রঙ ঘরে শীতল প্রভাব ফেলে। সাদা বা হালকা রঙের সুতির চাদর পাতলে বিছানা ঠান্ডা থাকবে। নিয়মিত বদলান বেডকভার ও বেডশিট। এতে ঠান্ডা শুধু নয়, ফ্রেশও লাগবে।

৬। ছাদের সাদা রঙ ঘরকে শীতল রাখে। সাদা রঙ আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মিকে প্রতিহত করে প্রাকৃতিকভাবে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই মানুষ এখন ঘরের ছাদে সাদা রঙের পেইন্টিং করে।
৭। কাজ না থাকলে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ বন্ধ করে রাখুন। কম্পিউটার ও ল্যাপটপ প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে যা ঘরকে গরম করে ফেলে। তাই ঘর ঠান্ডা রাখতে চাইলে অপ্রয়োজনে এসব প্রযুক্তি পন্য চালিয়ে না রাখাই ভালো।
৮। এক বোল বরফের টুকরো নিয়ে ফ্যানের নীচে রেখে ফ্যান চালু করুন। কিছুক্ষণ পর বরফগুলো যখন গলতে শুরু করবে তখন বাতাস এই শীতল পানি শোষণ করবে ও ছড়িয়ে দিবে। এর ফলে আপনার ঘর ঠান্ডা হবে।
৯। বেশ কিছু ইন্ডোর প্লান্ট রয়েছে, যা বাড়ির মধ্যে রাখলে ঘর ঠান্ডা থাকে। যেমন অ্যালোভেরা, বস্টন ফার্ন, স্নেক প্লান্ট, উইপিং ফিগ, অ্যারিকা পাম ইত্যাদি। ঘরের বাতাসকেও শুদ্ধ করে এই গাছগুলি।
১০। সাধারণ বালব-টিউব পাল্টে ব্যবহার করুন এলইডি বাল্ব। কারণ ইনক্যান্ডেসেন্ট বাল্ব থেকে গরম হয়ে যায় ঘর। ঘরে জোরালো আলো জ্বালিয়ে রাখলে গরম বাড়বে। এ সময় খুব প্রয়োজন না হলে ঘরে জোরালো আলো জ্বালবেন না। ডিম লাইট বা টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করুন।

১১। দিনে দু’বার করে ঘর ও জানলার স্ল্যাব ভাল করে মুছুন। এতেও ঘর ঠান্ডা হতে সাহায্য করবে।
১২। রান্নার পর অবশ্যই গ্যাসের চুলা, স্টোভ বন্ধ রাখবেন।
১৩। রাতের বেলা টেবিল বা পোর্টেবল ফ্যানটি জানালার কাছে নিয়ে চালিয়ে দিন। এটি বাইরের ঠাণ্ডা হাওয়া ভিতরে নিয়ে আসবে এবং ঘরের অসহনীয় গরম দূর হবে।
১৪। বাসা অতিরিক্ত গরম থাকার আরও একটি কারণ হচ্ছে বিনা প্রয়োজনে ইলেক্ট্রনিক জিনিস অন করে রাখা। অনেককেই দেখা যায় কারণ ছাড়াই টেলিভিশন, ফ্যান, বাতি ইত্যাদি অন করে রাখেন। এর ফলে ঘরের তাপমাত্রা আরও বেড়ে গিয়ে অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া তৈরি করে। তাই বিনা প্রয়োজনে এসব জিনিস বন্ধ করে রাখবেন।

আরো পড়ুন: ১৬৫ কেজি ওজন কমিয়ে নজির গড়লেন তিনি

১৫। ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ছাদে আম বা ঝোপজাতীয় ছোট গাছ লাগান। লাউ-কুমড়ার মাচাও খুব কাজে দেবে। লতানো গাছ বিল্ডিংয়ের চারদিকে নামিয়ে দিতে হবে। এতে পাশের দেয়ালও ঠাণ্ডা থাকবে।
১৬। ঘর যথাসম্ভব পরিস্কার রাখুন। দুপুর বেলা একবার এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার ঘরটাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে নিলে ঘরের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়।
১৭। আপনার গৃহের কোন অংশটিতে সবচেয়ে বেশি বাতাস আসা যাওয়া করে তা লক্ষ্য করুন। কোন দিক দিয়ে বাতাস বেশি আসে তা চিহ্নিত করুন। তাহলে আপনি সেই অংশের জানালা খোলা রাখতে পারবেন। এর ফলে সূর্যাস্তের পরেও আপনার ঘরে বাতাস আসা যাওয়া করবে।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।