সাত দিনে পেটের মেদ কমাবেন যেভাবে
বর্তমান যুগে হাজার হাজার মানুষ বাড়তি ওজন নিয়ে প্রচুর ভয়ে ভোগেন এবং অনেক মানুষ হতাশা হয়ে পেটের মেদ কমানোর উপায় খোঁজেন। দেহের মোটার কারণে মানুষ অনেক ক্ষেত্রে অবমূল্যায়িত হয়ে যান। বাংলাদেশের পরিসংখ্যানের মতে ওজন হীনতায় ভোগা মানুষের থেকে মোটা মানুষ এর সংখ্যা বেশি। ঠিক আরেকটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পিতা মাতা যদি মোটা হয়ে ভোগেন তাহলে তার সন্তান কোন মোটা হওয়া সম্ভবনা ৮০%।
এছাড়া শরীরের বাড়তি ওজনের কারণে ২০ টির মতো রোগ হয়ে থাকে মানুষের শরীরে। এ ২০টি মতো জয়েন পেইন, ক্যান্সার ,স্টোক, ডায়াবেটিকস। তবুও কমে না মেদ-ভুঁড়ি। তবে চাইলেই কিন্তু আপনি মাত্র সাত দিনে অর্থাৎ ১ সপ্তাহেই কমাতে পারবেন পেট ও কোমরের জেদি চর্বি। জেনে নিন পেটের মেদসহ পুরো শরীরের ওজন কমানোর প্রমাণিত ৭ টি উপায়…
১.কাঁচা মরিচে আছে ক্যাপসেইসিন নামের একধরনের উপাদান, যা শরীরকে সুঠাম করতে কার্যকর। রান্না করা বা কাঁচা যেকোনো ধরনের মরিচের ঝাল মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয় এবং নিজে থেকেই ক্যালরি বার্ন করে। তাই একটু বেশি ঝালযুক্ত খাবার কমাতে পারে ওজন।
২.মেদ বাড়াতে আরেকটি খাবার খুব ভূমিকা রাখে। তা হলো– আর্টিফিশিয়াল বা ন্যাচারাল মিষ্টি কিংবা চিনি। কেননা এগুলো শরীরের ইনসুলিন নির্গত করে। ফলে শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে থাকে যা আপনাকে মুটিয়ে দেয়। তাই যেকোন ধরণের সফট ড্রিংকস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এমনকি তা যদি ডায়েট ড্রিংকস হয় তবুও।
৩.প্রচুর পানি পান করুন। পানি শরীরের নানা অসুখ থেকে আপনাকে নিরাপদ রাখবে। পানিস্বল্পতার কারণে মাথাব্যথা থেকে শুরু করে নানা অসুখ তৈরি হতে পারে। সেসব থেকেও মুক্তি মিলবে নিমেষেই।
৪.পেটে মেদ কমানোর জন্য আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করলে শরীরের স্বাস্থ্য কমে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ৩০ মিনিট দৌড়াদৌড়ি করলে সাত দিনের মধ্যে শরীরের দুই থেকে তিন কেজি ওজন কমবে। শরীরের ওজন কমলে পেটের মেদ কমে যাবে।
আরো পড়ুনঃ গাড়িতে বমি বন্ধ করার সহজ ঘরোয়া উপায়
৫.মাছের তেলে আছে ওমেগা থ্রি, যা ওজন কমাতে সহায়তা করবে। মাছের তেল হাড় গঠনে সহায়তা করে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং প্রয়োজনীয় কোলস্টেরল বৃদ্ধি করে। মাছের তেল কোমর ও পেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
৬.দারুচিনি, আদা, গোল মরিচ জাতীয় মসলা যুক্ত খাবার খান। এইসব মসলা দেহের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। রান্নায় দারুচিনি, আদা ও গোল মরিচ যোগ করে রান্নার স্বাদের মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি কমিয়ে নিতে পারেন পেটের মেদ।
৭.ভালো ধরনের কোমল পানীয় ও পেটের ভুড়ি কমাতে বা মেয়াদ কমাতে সাহায্য করে। গাজর,আপেল, কমলা, টমেটো, লেবু দিয়ে বেলেন্ডার করে তৈরি করে ফেলুন কোমল পানীয়। এটা মানব শরীরের পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।