মেডিটেশন এর উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিক
মেডিটেশন হলো মনের ব্যয়াম। শারীরিক সুস্থ্যতার জন্যে যেমন ব্যয়াম প্রয়োজন। মনের সুস্থতার জন্যেও তেমনি ব্যায়াম প্রয়োজন। মেডিটেশন এর বাংলা হচ্ছে ধ্যান। মেডিটেশন একজন মানুষকে স্থির করে। একজন ধ্যানী তাঁর নিজের মনের উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। তিনি ভেতর থেকে শুদ্ধি লাভ করেন।
ধ্যানী সমসময় স্থির, প্রশান্ত, ও ইতিবাচক থাকেন। একজন ধ্যানী কখনো অন্যের ক্ষতি চিন্তা করতে পারেন না। ধ্যানীরা সাধারণত জ্ঞানী হন। আর সে জ্ঞানের আলোকে নিজের ও অন্যের কল্যাণ নিশ্চিত করেন। আমরা জানি, প্রত্যেকটা জিনিসেরই একটি ভালো দিকে একটি খারাপ দিক। তেমনি মেডিটেশনের একটি উপকারিতা ও একটি ক্ষতির দিক আছে।
মেডিটেশন এর উপকারিতা: মেডিটেশন আমাদের মানসিক সুস্থতার পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতার মধ্যে বহু অবদান রেখেছে। মেডিটেশন করার ফলে একজন মানুষ পূর্ণাঙ্গভাবে সুস্থ হয়ে যায়। কোন মানুষ যদি বেশি রাগী হয় নিয়মিত এক মাস মেডিটেশন করলে তার রাগ ধুলোর সাথে মিশে যাবে।
মেডিটেশন এর ফলে মেচিউরিটি প্রাপ্তি হওয়াতে , যে কোন সমস্যার মোকাবিলা সহজেই করতে পারবেন। মন হয়ে উঠবে নির্ভীক, সাহসী। দুর্বলতা দূর হয়ে যাবে মন থেকে। কেউ যদি ডিপ্রেশনে বা চিন্তায় ভুগেন তাহলে সাথে সাথেই একটি নিরিবিলি রুমে গিয়ে মেডিটেশন করুন।
দেখবেন সাথে সাথে আপনার সকল চিন্তা মুক্ত হয়ে গেছে। মেচিউরিটি প্রাপ্তি হলে আপনি সহজেই সবাইকে ক্ষমা করে দিতে পারবেন। ছোট ছোট কারনে বিচলিত হবেন না।
মেডিটেশন করার ফলে বদ অভ্যাসগুলো তাড়াতাড়ি সেরে যায়। তাছাড়া শারীরিক কোন অসুস্থ থাকলেও দূর হয়ে যায়। তাই প্রত্যেকটি মানুষের উচিত মেডিটেশন।
মেডিটেশন এর ক্ষতিকর দিক: সঠিক উপায়ে মেডিটেশন না করতে পারলে আমাদের ক্ষতিকর দিকটাই বেশি হবেই। মেডিটেশন আপনার ভেতর দাবিয়ে রাখা রাগ, ঘৃণা, হিংসা ইত্যাদি ভয়ংকর আবেগকে জাগিয়ে তুলতে পারে। আমরা মেডিটেশন করিই নিজেদের মধ্যকার অশুভ শক্তিকে হারিয়ে শুভ শক্তিকে সামনে নিয়ে আসার জন্য, যাতে আমরা ভাল থাকি, অন্যরাও ভাল থাকে।
আরো পড়ুন: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে যে ৫ অভ্যাস!
কিন্তু আমরা যদি কোনভাবে বিপরীত আবেগকে জাগিয়ে তুলি এতে নিজের এবং অন্যের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। আসলে কল্পনা জগতে আমরা যা করি না কেন কল্পনতে বাস্তবে নয়। অবশেষে বলতে পারি যে, মেডিটেশনের উপকার ও ক্ষতির দিক থেকে উপকারে বেশি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।