
অনুলিপি ডেস্ক: লিওনেল মেসি -ই হলেন সর্বকালের সেরা বলে মন্তব্য করে সদ্য বিশ্বকাপ জয় করা আর্জেন্টিনার কোচ নিওলে স্কালোনি। বর্তমানে ফুটবলের বিশ্বের অন্যতম এক কিংবদন্তির নাম লিওনেল মেসি। এইতো কিছুদিন আগে সব ধরনের ট্রফি ছোঁয়া পেলেও কোন আন্তর্জাতিক ট্রফির ছোঁয়া পায়নি এই কিংবদন্তি। তবে ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটে। বছর না পেরুতেই ২০২২ সালের ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের ট্রপি উচিয়ে ধরেন লিওনেল মেসি।
আর এই দুইটি অর্জনেই এসেছে লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে। আর্জেন্টিনা কোচের মতে মেসি ফুটবল ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। কিংবদন্তি পেলে ও দিয়েগো ম্যারাডোনার পরে প্রশ্ন উঠে কে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু সমালোচকদের অনেকের দৃষ্টিতে এতদিন এই দুই কিংবদন্তির সঙ্গে তুলনায় আসার উপযুক্ত ছিলেন না তিনি।
কারণ লিওনেল মেসির পাশে ছিল না কোন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এর ট্রফি। কিন্তু সেই হতাশার দিন আর বেশিদিন গড়াইতে দেইনি লিওনেল স্কালুনির দল। ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপে।উদ্বোধনী ম্যাচে সৌদি আরবের সাথে হেরে। কিছুটা মনসংযোগ হারিয়ে ফেলে। পরের ম্যাচ গুলোতে টানা জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাস চলে আসে দলের মধ্যে। সেই ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপে টানা জয়ে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছায় লিওনেল মেসির দল।
মরুর বুকে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। সাত গোল ও তিন অ্যাসিস্ট করে আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল জেতেন মেসি। ব্রাজিলের জার্সিতে পেলে তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছেন। ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন দিয়াগো ম্যারাডোনা।
আরো পড়ুনঃবাংলাদেশে আসবে আর্জেন্টিনা ? সবকিছু ঠিক থাকলে এই জুনে ঢাকায় আসছে মেসির আর্জেন্টিনা
৩৬ বছরের ব্যবধানে তার উত্তরসূরি মেসি দলটিকে ফের দিয়েছেন ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার ট্রফির স্বাদ। সর্বোচ্চ সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে মশগুল স্কালোনি। তাই ম্যারাডোনাকে কিংবদন্তি উল্লেখ করলেও ইতিহাসের সেরা ফুটবলার হিসেবে মেসিকে বেছে নিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ।
স্প্যানিশের এক সাক্ষাৎকারে লিওনেল স্কালনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “ম্যারাডোনা কিংবদন্তি ছিলেন কিন্তু মেসি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় মেসির সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বুঝাতে গিয়ে তিনি বলেন লিওর সঙ্গে আমার বিশেষ কিছু একটা রয়েছে”
তেমনই একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন তিনি,আমি যখন মানসিক চাপে থাকি তখন লিওর সঙ্গে আলাপ করে তা দূর করতে পছন্দ করি। ম্যাচ নিয়ে কোন পরামর্শের দরকার হলে আমি কোন সংকোচ বোধ করি না তার সঙ্গে পরামর্শ করতে। ব্রাজিল এর বিপক্ষে বাচাই পর্ব চলাকালে আমি তাকে বলেছিলাম আমরা কিসের জন্য খেলতে যাচ্ছি সে সম্পর্কে অবগত আছি? তখন মেসি বলেছিলো যা ঘটার তাই ঘটবে। তখন আমি কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলাম।