ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে জন্ম নেওয়া নবজাতকের, নাম রাখলেন ‘মোখা’

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের এক আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ জয়নব বেগম (১৯)। শনিবার (১৩ মে) রাত দেড়টার দিকে তার প্রসব বেদনা শুরু হয়। তখন কোনো পরিবহন না থাকায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার।
রবিবার (১৪ মে) ভোরে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। সেই নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে “মোখা”। স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেওয়ার পর উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডবের ভয়ে শনিবার রাতে রাজাখালী ইউনিয়নের এয়ার আলী খান আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে নেন জয়নব।
কেন্দ্রে আসার কয়েক ঘণ্টা পর রাত ১টার দিকে তার প্রসব বেদনা শুরু হয়। পরে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার নিজের গাড়িতে তুলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে ভোরে জয়নব এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সকাল ১০টার দিকে জয়নব তার সন্তানকে নিয়ে আবার আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরে আসে।
ঝড় থেমে গেলে সন্ধ্যায় তারা বাড়ি ফিরেন। মা ও ছেলে সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান। তিনি জানান,ওই নারী স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। জয়নবের স্বামী মোহাম্মদ আরকান এ বিষয়ে বলেন,ঘূর্ণিঝড় মোখার নামানুসারে আমার ছেলের ডাকনাম ‘মোখা’ রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন: ক্লাস চলাকালে ছাত্রীর মাথায় চলন্ত পাখা
তিনি আরও জানান,ছেলের জন্মের খবর পেয়ে পাঁচ হাজার টাকা অর্থসহায়তা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার। ওসি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছেন। ছেলের জন্য কাপড়চোপড় নিয়ে এসেছেন।
ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, রাতে আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে ছিলেন। তখন তিনি খবর পান, এয়ার আলী খান আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে এক নারী প্রসববেদনায় কাতরাচ্ছেন। রাত দেড়টায় সেখানে গাড়ি পাওয়া যাবে না। তাই তিনি গাড়ি নিয়ে সেখানে পৌঁছে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।