গরমে নবজাতকের যত্ন নিবেন যেভাবে

বৈশাখের গরম সবার জন্য অসহ্য ও কষ্টকর। বাড়ির বড়রা যেখানে দিনে ৩-৪ বার গায়ে জল ঢেলে নিচ্ছেন, ফ্যানের তলায় বসে আইসক্রিম খাচ্ছেন বালু কাটাতে আম-পোড়ার শরবতে চুমুক দিচ্ছেন; সেখানে ওই একরত্তির কান্নাই একমাত্র সম্বল। আর বেচারি নতুন মা পড়েছে মহা বিপদে। আজকে জানাবো গরমে কিভাবে নবজাতকের যত্ন নিবেন কিভাবে
গরমে শিশুর প্রয়োজন পাতলা ও ঢিলেঢালা পোশাক। র্যাশ এড়াতে সুতির পাতলা কাপড় বেছে নেওয়া উপকারী। শিশুকে মশা ও পোকামাকড়ের কামড় থেকে নিরাপদ রাখতে ফুল হাতা পাতলা পোশাক ও প্যান্ট পরানো যেতে পারে।তবে সরাসরি ফুল হাতা পোশাক না পরিয়ে তাকে মশারির নিচে বা ঘরে যেনো মশা ঢুকতে না পারে তেমন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এই গরমে আদরের ছোট্ট সোনামণির চুলের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। গরমে শিশুর বেশিরভাগ চুলের গোড়া ঘেমে যায়। এতে মাথায় খুশকি ও ঘামাচি বের হয়। তাই গরমের শুরুতেই শিশুর চুল ছোট রাখতে হবে। ন্যাড়া করে দিলে আরও ভালো হয়। প্রতিদিন শিশুকে তেল মালিশ করা উচিত। এতে তার স্নায়ুবিক বিকাশ ঘটে ও ঘুম ভালো হয়।
তেল মালিশের পরে শিশুকে কুসুম গরম পানি দিয়ে গা ধুয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে গোসল বা স্পঞ্জ করানো যেতে পারে। দেহের ভাঁজ যুক্ত স্থান যেমন- গলা, ঘাড়, বাহুমূল, হাঁটুর নিচের অংশ ইত্যাদি মুছে দিতে হবে। নয়ত ফাঙ্গাসের আক্রমণ ঘটতে পারে। যতটা সম্ভব শিশুকে ডায়াপার না পরানোই ভালো। এতে গায়ে বাতাস লাগবে ও ঘাম কম হবে।
বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন ওয়াইপ্স খুব বেশি ব্যবহারে র্যাশ দেখা দিতে পারে। তাই সাধারণ পানি বা পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে নেওয়া ভালো। ট্যালকম পাউডার শিশুর জন্য উপযোগী নয়। মুখের কাছাকাছি ব্যবহার করলে এই পাউডার থেকে শ্বাসযন্ত্রে সমস্যাসহ মুখের ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন: গরমের ত্বকে ভাল রাখতে যে ৫ জাতের ফল খাবেন
পানিশূন্যতার কারণে শিশুর গরমকালে জ্বর হতে পারে। তাই ভয় না পেয়ে প্রথমে তাকে আর্দ্র করার চেষ্টা করতে হবে। তাপমাত্রা কোনোভাবেই না কমলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। শিশুর গায়ের তাপমাত্রা বাড়লে, র্যাশ, জ্বলুনি বা ছয় ঘন্টার বেশি সময় খাবারে অনিহা দেখা দিলে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।