ব্রণ থেকে মুক্তির সবচেয়ে ভালো উপায় জেনে নিন
ব্রণ হওয়ার সমস্যা বর্তমানে সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। প্রত্যেকটা মানুষের কমবেশি ব্রণ হয়ে থাকে। ব্রণ শুধু মুখে সৌন্দর্য কমায় না সেই সাথে অসহ্য ব্যাথাও দেয়। চিকিৎসকরা জানান, হরমোনের পরিবর্তনের জন্য ব্রণ এর সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণর সমস্যা সমাধানের জন্য অনেকেই অনেক ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু তাতে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আজকের তুলে ধরব মন থেকে মুক্তির সহজ উপায়
১.ট্রি অয়েল সাধারণত পিম্পলের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে এই তেল ব্রণের সমস্যায় কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে এটি উল্লেখ করা হয়েছে।
এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে, টি ট্রি অয়েল ব্রণের ওষুধে যেমন ক্রিম এবং জেল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এই কারণে, এটি মনে করা হয় যে, ব্রণ দূর করার ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে চা গাছের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। আধা চা চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ২ থেকে ৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগান। কিছুক্ষণ এভাবে রাখার পর পেস্ট শুকিয়ে গেলে নরমাল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২.ব্রণের সমস্যার ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে আপনারা রসুন ব্যবহার করতে পারেন। রসুনে অ্যালিসিন রয়েছে, যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বককে ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখার সাথে সাথে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। এটিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা ব্রণের সমস্যা কমাতে উপকারী ভুমিকা পালন করে।
অ্যান্টি-ব্রণ জেল রসুনের হাইড্রোক্লোরিক নির্যাস থেকে তৈরি করা হয়। ৩ বা ৪ কোয়া রসুন নিয়ে ভাল করে বেটে পেস্ট তৈরি করুন। এবার রসুনের পেস্টের সাথে সামান্য মধু ও কয়েক ফোঁটা পানি মিশিয়ে মুখে লাগান। মিশ্রণটি লাগানোর পর শুকিয়ে গেলে ১৫–২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।
আরো পড়ুন: সকালবেলা উষ্ণ লেবু পানি উপকারিতা
৩.ব্রণ দূর করার আরও একটি কার্যকরী উপাদান হলো ত্রিফলা। এটি ব্রণ দূর করার পাশাপাশি শরীরের আরো নানা সমস্যার জন্য উপকারি। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো ত্রিফলা বাজারে শুষ্ক ফলের মত পাওয়া যায়। অনেক কোম্পানি এটিকে বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করে।
ত্রিফলা হল ৩ টি অর্থাৎ আমলকি, হরিতকি, বিভিতকি ফলের মিশ্রন। ত্রিফলার গুড়া রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে এই রস পান করুন। ত্রিফলার পানি পান করার পর কমপক্ষে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং তারপর নাস্তা করুন। এভাবে যদি আপনি একটানা ৩ মাস খান তাহলে দেখবেন আপনার ব্রণের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।