সিনেগল্প

যে সিনেমা মুক্তি পাবে ২১১৫ সালে

যে সিনেমা মুক্তি পাবে ২১১৫ সালে। আজ আমারা এমন একটি সিনামা নিয়ে কথা বলবো জে সিনামাটি আপনি আমি দেখতে পারবো না ........

যে সিনেমা মুক্তি পাবে ২১১৫ সালে। ,আমরা নতুন কোন সিনেমা আসার কথা শুনলে অনেক আগ্রহ নিয়ে পর্দার সামনে বসে থাকি। কেননা সিনেমা দেখার অভ্যাস আমাদের মাঝে অনেকেরই রয়েছে। আমরা সিনেমা দেখতে পছন্দ করি। আমাদের যতই কাজ থাকুক না কেন নতুন কোন সিনেমা আসলে কাজের ফাকে সময় করে দেখে নেই। পছন্দের কোন সিনেমা বের হলে,এবং প্রথম দিনেই সেই সিনেমার টিকেট পেয়ে গেলে তাহলে তো আনন্দের শেষ নেই। আজকে আর্টিকেলটির মাধ্যমে সিনেমা ভক্তদের জন্য একটি খুশির খবর হল নতুন একটি সিনেমা মুক্তি পেতে চলেছে।

তবে সেই সাথে দুঃখের বিষয় হলো সিনেমাটি আপনারা দেখতে পারবেন না। যদি দেখতে চান তাহলে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে ২১১৫ সাল ! পর্যন্ত। আপনারা হয়তো নিজেকে বিশ্বাস করাতে পারছেন না। এবং বলছেন এ কেমন সিনেমা। জন মালকোভিচ এই ব্যক্তি সিনেমাটির অভিনেতাও পরিচালক। সিনেমাটির নাম প্রকাশ করে তিনি নেট দুনিয়ায় ঝড় তুললেন।

সিনেমাটির নাম হচ্ছে ”হান্ড্রেড ইয়ার্স”। নতুন এই সিনেমাটি বানানো নিয়ে তিনি কথা বলেন ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে। সিনেমাটি কবে মুক্তি পাচ্ছে ? দর্শকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, সেটি শুনে আপনারা অবাক হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই । সেটি বের হবে ২১১৫ সালের নভেম্বরে! যেটির ক্যাপশন দেওয়া রয়েছে দ্য মুভি ইউ উইল নেভার সি। যে মুভি আপনি কখনো দেখতে পাবেন না।

সাধারণত কোন সিনেমা বের হলে তার ট্রেলর বা টিজার সিনেমার মুক্তি নিয়ে একটা তারিখ দেওয়া থাকে। যাতে করে দর্শকদের মাঝে আগ্রহ বাড়তে থাকে। সিনেমার মুক্তির তারিখ না থাকলেও কামিং সুন লেখা তো থাকবেই। যাতে দর্শকদের অপেক্ষা একটা গতি পায়। কিন্তু এটা এমন একটা সিনেমা, যার টিজার প্রকাশ পেয়েছে। কোন তারিখ লেখা নেই বরং লেখা রয়েছে নট কামিং সুন! আপনি হয়তো ভাবতেই পারেন এটা একটি প্রচারের চমক।

পরিচালনায় রয়েছেন রবার্ট রড্রিগেজ এবং অভিনয়ে রয়েছেন জন ম্যালকোভিচ। মোট তিনটি টিজার প্রকাশ করেছেন সিনেমা টির নির্মাতারা। এ সিনেমায় তিনটি ভিন্ন ভবিষ্যৎ দেখানো হয়েছে। একটি অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির বিশ্ব” দ্বিতীয়টি ডিসটোপিয়ান প্রায় ভেঙে পড়া সভ্যতা এবং তৃতীয়টি রেট্রো ফিউচার” যেমনটা চল্লিশ পঞ্চাশের দশকে ভাবা হয়েছিল।তার মধ্যে রইল সেই তিনখানি টিজার। এতেই মন ভরান কারণ সিনেমা দেখার জন্য ২১১৫ সাল পর্যন্ত বেঁচে থাকাটা, বর্তমান পাঠকদের জন্য অসম্ভব!

আরো পড়ুন: বিশ্বের দীর্ঘতম ৭টি সেতু

সত্যি বলতে, পুরোটাই একটি বিশেষ কারণে তৈরি করা। আর এই ধরনের বিষয় কে নিয়ে দর্শকদের মাঝে আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ সিনেমায় যারা অভিনয় করেছেন তারা হলো, জন মালকোভিচ যিনি এই সিনেমায় অভিনয় ও চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন। সাথে রয়েছেন মার্কো জারোর এবং শুয়া চ্যাং। পরিচালনায় ছিলেন রবার্ট রডরিগেজ। লুইস থার্টিন কগন্যাক নামে একটি সংস্থা সিনেমাটির সাথে জড়িত রয়েছে। পুরো পৃথিবীর অন্যতম একটি মদ তৈরির কোম্পানি এটি। মূলত ব্র্যান্ডি জাতীয় এই পানীয়টি তৈরির একটি বিশেষত্ব আছে।

প্রায় ১০০ বছর ধরে জমিয়ে রাখার পর ”লুইস থার্টিন কগন্যাক” এর একটি প্রোডাক্ট বাজারে আসে! আর ভাবনা মূলক সিনেমা টি নিয়ে এলেন জন মালকোভিচ। সিনেমার টিজার গুলো মুক্তি পেলেও সিনেমাটির মূল বিষয়বস্তু কি সেটা জানা যায়নি। তবে বোঝা যাচ্ছে এই রহস্যময় সিনেমাটি বেশ ভালোভাবেই তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমরা এই রহস্যময় সিনেমাটি দেখার জন্য কজনই ২১১৫ সাল পর্যন্ত বেঁচে থাকব। ২১১৫ সালের মানুষেরাই সে রহস্যের সম্মুখীন হতে পারবে

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।