ফিচার

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে যে ৫টি বাইক

ইয়ামাহা: ২০১৬ সাল পর্যন্তও ইয়ামাহা বাইক নিজস্ব শোরুম বলতে কিছুই ছিলো না। কিন্তু এখন তাদের সেরা বাইকগুলো বাংলাদেশের রাস্তা মাতিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের মসৃণ ইঞ্জিনের গতি ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের সাথে আপনি তাদের জনপ্রিয় বাইকগুলোয় চড়ামাত্রই উড়ে যাবার মত অনুভব করবেন। ‘ইয়ামাহা এফজেডএস’ এবং ‘ইয়ামাহা এফজেড ফেজার’ মোটরসাইকেলগুলো তাদের কালেকশনের মধ্যে সর্বাধিক বিক্রিত বাইক।

এই বাইকগুলোর গ্রিপ খুবই ভালো ও বাইকগুলো যথেষ্ট স্থায়ী। এজন্যই তুলনামূলক উচ্চমূল্যের মোটরসাইকেল হওয়া সত্ত্বেও মানুষ বাইকগুলো কেনার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। তাদের জনপ্রিয় কমিউটার সিরিজের মধ্যে ‘ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ আর১৫’ সিরিজের বাইকগুলো বেশ উল্লেখযোগ্য।

বাজাজ: বাজাজ ভারতের সর্ববৃহৎ মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড হলেও বিক্রি ও জনপ্রিয়তার দিক থেকে এটি আমাদের দেশেও অনেক জনপ্রিয়। তাদের ‘পালসার’ ও ‘ডিসকভার’ বাংলাদেশের রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে। বাজাজের আরো কিছু জনপ্রিয় বাইকের সিরিজ হলো ‘বাজাজ প্লাটিনা’ ও ‘বাজাজ সিটি’। এই ব্র্যান্ডের সর্বোচ্চ বিক্রিত মডেল হলো ‘বাজাজ পালসার’ এবং ‘বাজাজ ডিসকভার।

পালসার ও ডিসকভারের বাইকগুলো অনেক বেশি জ্বালানী-স্বাশ্রয়ী ও স্থায়ী হয়, সেজন্যই দীর্ঘদিন সার্ভিস পেতে বাইকারকদের কাছে এই বাইকগুলোই প্রথম পছন্দ। এছাড়াও এর স্পেয়ার পার্টস গুলো সব যায়গায় পাওয়া যায় এবং বাংলাদশের প্রায় সব ধাঁচের মেকানিকই এই বাইকগুলোর কলকব্জা ও অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপের উপর বিশেষভাবে অভিজ্ঞ।

টিভিএস: বাংলাদেশে টিভিএস তাদের মোটরসাইকেলের ডিস্ট্রিবিউশন চালাচ্ছে সরাসরি ‘টিভিএস বাংলাদেশ’ নামে। সারাদেশে পরিবহন ক্ষেত্রে টিভিএস বেশ জনপ্রিয় একটি নাম। সাধ্যের মধ্যে দাম ও জ্বালানী-সাশ্রয়ী গুনাগুনের জন্য বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেটে টিভিএস বেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। টিভিএস বাংলাদেশের কর্পোরেট বিক্রিও সময়ের সাথে বেড়েই চলেছে। তাদের স্পোর্টস ফ্ল্যাগশীপ পণ্য অ্যাপাচি আরটিআর ১৫০ ও ১৬০ এর বিভিন্ন প্রতিযোগিদের টক্কর দিয়ে অনেক ভালো পারফর্ম করে চলেছে।

এই বাইকগুলো জ্বালানী-সাশ্রয়ী এবং ভালো গতিসম্পন্ন। এই বাইকগুলোর প্রধান আকর্ষণ হলো এদের স্পোর্টি ডিজাইন ও সাধ্যের মধ্যে দাম। কিন্তু বডির টেকসইতার ক্ষেত্রে বাইকগুলো কিছুটা দুর্বল মনে হতে পারে, এছাড়াও ইঞ্জিনে শেক একটু বেশি, যার থেকে বাহ্যিক ক্ষয়ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এতকিছু সত্ত্বেও মানুষ ঠিকই অ্যাপাচি বাইক কেনেন সেগুলোর আকর্ষণীয় ফিচার ও দামের সুলভ্যতার জন্য। সারাদেশে টিভিসি বাংলাদেশ অনেক নতুন পণ্য ছেড়েছে ইতোমধ্যে।

মোটকথায় টিভিএস এখন একটি বড়সড় প্রদর্শনীসমৃদ্ধ কোম্পানি। টিভিএস বেশ কিছু লোকাল ও নিজস্ব মেকানিক শপের মাধ্যমে তাদের বিক্রি পরবর্তী সার্ভিস সারা দেশব্যাপী পরিচালনা করছে। স্পেয়ার পার্টসের সুলভ্যতা ও সাধ্যের মধ্যে দামে বিভিন্ন পণ্য টিভিএসকে বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেটে এক অন্যরকম আবেদন তৈরি করে দিয়েছে। অতএব নিঃসন্দেহে টিভিএস আমাদের সেরা মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।

সুজুকি: বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কয়েকটি জাপানি ব্র্যান্ড এ দেশে ব্যবসা শুরু করে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো সুজুকি। ৯০ দশকে টু স্ট্রোকের সব বাইক নিষিদ্ধ হওয়ার পর অন্যান্য বাইক ব্র্যান্ড যখন ভারতীয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করল, সুজুকি তখন বাংলাদেশ থেকে একরকম ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছিল।

প্রায় ১০-১৫ বছর পর আবার যখন সুজুকি বাংলাদেশে এল, তখন এর বাইকগুলো ছিল আরও ভালো মানের এবং বৈচিত্র্যময়। নিজেদের বিখ্যাত মডেল সুজুকি জিক্সারসহ সব মিলিয়ে ২৭টি মডেল নিয়ে বাংলাদেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে সুজুকি।

আর পড়ুন: বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত বাইক ‘এক্সটুরিসমো’ এর আত্মপ্রকাশ!

হোন্ডা সিবিআর ১৫০আর: হোন্ডা সিবিআর ১৫০আর হলো হোন্ডার তৈরি করা সর্বশেষ ও সর্বাধুনিক মোটরসাইকেল। বাইকটিতে রয়েছে একটি ১৪৯.৪ সিসি, লিকুইড কুলড, ডিওএইচসি, ৪ ভালভ বিশিষ্ট ইঞ্জিন, যেটির রয়েছে শক্তি উৎপন্ন করার অত্যন্ত ভিন্ন ধরনের ক্ষমতা। এতে রয়েছে হোন্ডার তৈরি ‘প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন’ প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে হোন্ডা সিবিআর ১৫০আর এ জ্বালানীর সাশ্রয় নিশ্চিত হয়।

এটি ১০,৫০০ আরপিএম এ সর্বোচ্চ ১৭.৬ বিএইচপি শক্তি উৎপন্ন হয়। হোন্ডা সিবিআর ১৫০আর এ ১২ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ০-১০০ কিলোমিটার গতি তোলা যায় । ৬-স্পিড গিয়ারবক্সই অত্যন্ত মসৃণ ফলে এগুলো অত্যন্ত নিখুঁতভাবে কাজ করে।জ্বালানী ট্যাঙ্ক সম্পূর্ণ ভর্তি অবস্থায় এর মাইলেজ প্রায় ৫০০ কি.মি.-এর কাছাকাছি।

বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।