প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হওয়ার সহজেই উপায়

সুন্দর হতে কে না চায়। পুতুলের মতো ফর্সা গায়ের রঙ আর উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারিণী হতে চাই সবাই! ধরুন কেমিক্যাল প্রোডাক্টগুলো কথাই! আমরা জানি এগুলো আমাদের কোমল ত্বকের অনেক ক্ষতি করে।
সেটা জেনেও সুন্দর দেখানোর জন্য আমরা অনেক সময় কেমিক্যালের আশ্রয় নেই। আজ আমি সেই সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য সাধারণ কিছু উপাদান দিয়ে নিরাপদে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার কিছু টিপস দিব। এগুলো ব্যবহারে ত্বক হবে প্রাকৃতিকভাবেই ফর্সা।
১.মসুর ডাল আর ডিমের ফেসপ্যাকঃ এটি বানাতে হলে মসুর ডাল দু-তিন ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর মসুর ডাল ভালোভাবে মিক্সি বা পাঠাতে বেটে বা বেলেন্ডার করে নিতে হবে। এরপর মসুর ডালের সাথে একটা ডিম মিশ্রণ করতে হবে।
মসুর ডাল আর ডিমের মিশ্রণে ভালোভাবে শুকাতে হবে। শুকানো মিশ্রণটি ভালোভাবে মিহি করে বেটে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি আপনি প্রতিদিন ফেস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারে পানি অথবা গোলাপ জলের সাথে। প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার মুখ হয়ে উঠবে উজ্জ্বল লাবণ্যময়ী প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা।
২.আমের খোসা এবং দুধঃ গরমকালে রাতের বেলা গরম গরম দুধে আম মিশিয়ে খেতে কী সুস্বাদু লাগে। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে দুধের সঙ্গে আমের খোসার মিশিয়ে ত্বকে লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো দুধে অল্প করে আমের খোসা মিশিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর সেই মিশ্রনটা মুখে, গলায় এবং ঘারে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে দিয়ে ধুয়ে নিন।
৩.লেবুর রস ও চিনিঃ একটা লেবু থেকে রস সংগ্রহ করে তাতে ১ চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রনটি ততক্ষণ পর্যন্ত মুখে ঘষতে থাকুন, যতক্ষণ না চিনিটা ত্বকের সঙ্গে একেবারে মিশে যায়। যখন দেখবেন এমনটা হচ্ছে, তখন মুখটা ঠাণ্ড পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। ফর্সা ত্বক পেতে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি দারুন কাজে আসে।
৪.চালের গুঁড়া ও দুধের ফেসপ্যাকঃ প্রথমে আধা কাপ চাল পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে হবে তারপর চাল পিষে গুঁড়া করে নিন। তারপর চালের গুঁড়তে ৩-৪ টেবিল চামচ দুধ যোগ করে একটি পেস্ট তৈরী করে নিন। তারপর পেস্টটি আপনার সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়
তারপর শুকানোর জন্য কমপক্ষে আধা ঘন্টা রেখে দিন এবং এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে আপনার মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। তারপর ভালো করে মুখ মুছে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। চালের গুঁড়া হলো এমন একটি উপাদান তা যা ত্বককে ঝকঝকে, নরম, ফর্সা এবং স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে।
চালের আটাও কাচাঁদুধ মিশ্রিত এই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল এবং টানটান করে তুলতে দুর্দান্ত কাজ করবে। চালের গুঁড়া একদিকে যেমন ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে ত্বকের বার্ধক্যের প্রাথমিক লক্ষণ দূরীকরণে কাজ করে তেমনি অন্যদিকে দুধ ত্বককে পুষ্ট ও স্বাস্থ্যকর করতে কাজ করে।
চালের গুঁড়া ও কাঁচা দুধের ফেসপ্যাকটি এমন একটি পাওয়ার-প্যাক যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বকে তারুণ্যের আভা এনে দিতে সক্ষম।