অন্যান্যধর্ম

রাতে ঘুমানোর আগে যে আমল করবেন।

ইসলামে এমন কিছু আ,মল আছে জা আমরা অনেকেই জানি না আর এমন ছোট ছোট আ,মল করা থেকে বিরতো থাকি আজ আমরা জানবো রাতে ঘুমানোর আগে যে আ,মল করবেন।

রাতে ঘুমানোর আগে যে আমল করবেন।, আমরা ভাবি, আজ যারা আমাদের চারপাশে আছে, তারা বুঝি আজীবন এভাবেই থাকবে। এই ভাবনা বেশিরভাগ সময়েই ভুল প্রমাণিত হয়। কারণ জীবনের প্রবাহ সব সময় একই গতিতে, একই দিকে চলে না। তাইতো চলার পথে যোগ হয় নতুন সব মুখ, আবার তারা হারিয়েও যায়। কত ভালোলাগা-মন্দলাগার সাক্ষী হয়ে থাকে সেসব মানুষ। কত ভাব বিনিময়, মন খুলে কত মনের কথা বলা।
সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা অবশ্যই প্রশংসনীয় কাজ। সেই সম্পর্ক ধরে রাখতে পারাও কম কথা নয়। কিন্তু সেটি যতই সুন্দর সম্পর্ক হোক না কেন, নিজের সব কথা বলে দেওয়াটা কখনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কিছু কথা নিজের কাছে গোপন রাখাই শ্রেয়। আজ হয়তো মনে হতে পারে, আপনার কথাগুলো তার কাছে নিরাপদ। কিন্তু সম্পর্কটি কতদিন সুন্দরভাবে বজায় থাকবে, কে জানে! এরপর যে আপনার সেসব দুর্বল দিকগুলোই তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হবে না, তা কে বলতে পারে!

মানুষ হয়ে জন্মেছেন যখন, কাউকে না কাউকে বিশ্বাস করতেই হবে। বিশ্বাস করে বিনিময় করতে হবে নিজের দুঃখ-কষ্টের কথা। কেননা আমরা একলা বাঁচতে পারি না, সকলেই কাউকে না কাউকে খুঁজি নিজের মনের কথা বলার জন্য। কিন্তু বলাই বাহুল্য যে আজকাল যেন সম্পর্কগুলো অদ্ভুতভাবে বদলে গেছে। কাউকে বিশ্বাস করার মাঝে সেই স্বস্তি নেই, যেটা হয়তো আগে ছিল। আজকাল মানুষ অনেক বেশি স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক। সকলেই যেন আরেকজনের দোষ ত্রুটি আর দুর্বলতা খুঁজে বেড়ান আঘাত করার জন্য। আর তাই, কারো সাথে নিজের গোপন কথা বিনিময় করার ক্ষেত্রে সাবধান থাকাটা খুবই জরুরী। অবশ্যই যাচাই করে নেবেন ৭টি বিষয়। ১) প্রথমেই ভেবে দেখুন কথাটা কেবল নিজের কাছেই রাখা যায় কিনা। যত আপন মানুষই হোক, সম্পর্ক কখনো না কখনো বদলে যেতেই পারে। কিন্তু নিজের সাথে সম্পর্ক কখনো ভাঙে না। মানুষ নিজের সাথে প্রতারণা করতে পারে না। তাই সম্ভব হলে নিজের একান্ত ব্যক্তিগত কথাগুলো নিজের কাছেই রাখুন। ২) যদি কাউকে বলতেই চান, তাহলে বেছে নিন খুব কাছের কাউকে। এমন কেউ, যাকে আপনি অনেকদিন যাবত চেনেন, জানেন ও ভরসা করতে পারেন। এমন কেউ, যিনি কখনো আপনার দুর্বলতার সুযোগ নেন নি। ৩) যারা দুঃখ ও বিপদের দিনে আজীবন পাশে ছিলেন, কখনো আপনার প্রতি যাদের ভালোবাসায় কোন খাদ দেখতে পান নি, তাঁদের ওপরে আস্থা রাখুন।

কারণ বিপদেই প্রকৃত বন্ধুর পরিচয়। সুখের দিনের বন্ধুরা অনেক আকর্ষণীয় সত্যি, কিন্তু এমন বন্ধুদের কখনো নিজের গোপন কথা বলবেন না । ৪) একটু খেয়াল করে দেখুন, যাকে বিশ্বাস করে নিজের গোপন কথা বলতে চলেছেন তিনি মানুষটা কেমন? তিনি কি অন্যের গোপন কথা এসে আপনাকে বলেন? তাহলে জেনে রাখুন, এই মানুষটি আপনার গোপন কোথাও আরেকজনকে বলে বেড়াবে। আর তাই, যত আপনই হোক না কেন এমন মানুষকে নিজের ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করবেন না। ৫) এমন কাউকে নিজের গোপন কথা জানাবেন না, আপনার সাথে যার কোন না কোন স্বার্থ জড়িত। স্বার্থে কখনো আঘাত লাগলে তিনি যে সেই তথ্য আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার করবেন না এমন কোন গ্যারান্টি কিন্তু নেই। ৬) বুঝতে পারছেন না কাকে বিশ্বাস করবেন, এদিকে মনের কথা কাউকে বলা জরুরী? এক্ষেত্রে কোন কাউন্সিলারের কাছে জান, তাঁর সাথে নিজের মনের কথা শেয়ার করুন। তিনি পেশাদার মানুষ, তাঁর কাছ থেকে গোপন কথা কোথাও যাবে না। ৭) কখনো কারো ওপর রাগ করে বা অভিমানে এমন কিছু বলে বসবেন না, যেটা পরে আপনার জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাগের মাথায় কারো সাথে নিজের গোপন প্রসঙ্গ আলোচনা না করাই ভালো। কারণ রাগের মাথায় আমরা এমন অনেক কিছু বলে ফেলি যেটা হয়তো পুরোপুরি সঠিক নয়।
কোন কথাগুলো অন্যকে বলা যাবে না, তা জেনে নিন-

১.দাম্পত্য জীবন> স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার কথা কখনও কাউকে বলা উচিত নয়। এই বিষয়গুলো কখনও কোনও ঘনিষ্ঠ বন্ধুকেও বলা উচিত নয়। নয়তো মুশকিলে পরতে পারেন। এতে আপনার অপমানও হবে আর আপনার বৈবাহিক জীবনেও চিড় ধরতে পারে। তাই শাস্ত্র মতে কখনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার কথা অন্য কাউকে বলতে নেই। এমনকী ঝগড়ার সময়ও তৃতীয় ব্যক্তিকে তার মধ্যে নিয়ে আসতে নেই।
২.নিজের দুর্বলতার কথা> আমরা কেউই স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। কোথাও না কোথাও আমাদের ঘাটতি থেকে যায়, কমতি থেকে যায়। নিজের কোনো দুর্বলতা থাকতেই পারে। তাই বলে সেটি জনে জনে বলে বেড়াবেন না। এতে সামনাসামনি সমবেদনা দেখালেও অন্যের কাছে তারা আপনার দুর্বলতা নিয়ে হাসাহাসি করতে পারে। নিজের যদি কোনো ভুল থাকে তবে সেজন্য ক্ষমা চেয়ে নিতে পারেন। কিন্তু নিজের দুর্বলতার কথা প্রকাশ করে নিজেকে হাসির পাত্র বানাতে যাবেন না।
৩.বিশেষ কোনো স্বপ্ন> স্বপ্ন বা লক্ষ্য না থাকলে জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। আপনার জীবনেও হয়তো কোনো লক্ষ্য কিংবা স্বপ্ন আছে। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে নিজের মতো করে এগিয়ে যান। তবে নিজের বিশেষ স্বপ্নের কথা অন্যের কাছে বলতে যাবেন না। কারণ সবাই সেটি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ নাও করতে পারে।

আরো পড়ুন: নামাজের পর রাসুল (সা.) যে দোয়াগুলো পড়তেন

৪.নিজের পরিবার সম্পর্কে> অনেকে আছেন যারা বাইরের লোকের কাছে নিজের পরিবারের সব কথা বলে দেন বা পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে সমালোচনা করেন। পরিবারের কাছ থেকে আপনার যতই তিক্ত অভিজ্ঞতা হোক না কেন, তা বাইরের মানুষের কাছে বলতে যাবেন না। মনের কথা বলার মাধ্যমে আপনি হয়তো সাময়িক চাপমুক্ত অনুভব করতে পারেন, কিন্তু এসব কথাই পরবর্তীতে তারা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। তাই পরিবারের কারও সঙ্গে কোনো ধরনের সমস্যা হলে চেষ্টা করুন নিজেরাই সেটি সমাধান করার।
৫.গোপন কথা কাউকে বলা উচিত নয়> শাস্ত্র অনুযায়ী, ব্যক্তিকে নিজের পরিজন, ঘনিষ্ঠ মিত্র আর নিজের স্ত্রীকে নিজের সুখ-দুঃখ, সমস্যার বিষয়ে বলা উচিত, কারণ এরাই সমস্যার সময় সঙ্গ দেয়। কিন্তু এমন কিছু কথা রয়েছে যা সবাইকে বলা উচিত নয় এবং এই গোপন কথা নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হয়। নয়তো সেই ব্যক্তি গুরুতর সমস্যায় ফেঁসে যেতে পারেন।

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।