বজ্রপাত থেকে বাঁচতে যা করবেন
বর্ষা মৌসুমে দেশে বজ্রপাতে সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। আর বজ্রপাতের কারণে এ সময় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে বজ্রপাতে মৃত্যু বেড়েই চলেছে। বজ্রপাত এতটাই আকস্মিক ঘটনা যে এক্ষেত্রে করণীয় কিছু থাকে না। তবে বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য সতর্ক হতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি উপায়…
১).বজ্রপাত,ঝড় সাধারণত ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করুন। অতি জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হলে রাবারের জুতা পরে বাইরে যাবেন, এটি বজ্রঝড় বা বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা দেবে।
২).বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। জরুরি প্রয়ােজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারবেন।
৩).বজ্রপাতের সময় বাড়িতে বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকলে তা তাড়াতাড়ি বন্ধ করুন। ফ্রিজ, টিভি, ইত্যাদি বন্ধ থাকলেও ধরবেন না। জ্রপাতের আভাষ পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখুন।
৪).বজ্রপাতের সময় খোলা ছাউনি ছাড়া নৌকাতে ওঠা উচিত নয়। মাছ ধরার সময় নৌকাতে থাকলে ছাউনি ওলা নৌকাতে আশ্রয় নিতে হবে।
৫).কয়েকজন মিলে খোলা কোনো স্থানে থাকাকালীন যদি বজ্রপাত শুরু হয় তাহলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে সরে যান। কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
আরো পড়ুন: বজ্রপাতের আঘাতে কেন মানুষ মারা যায়?
৬).বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলো স্পর্শ করেও বহু মানুষ আহত হয়।
৭).বজ্রপাতের সময় আপনি যদি কোন ডুবার পানিতে থাকেন, পুকুরে বা খাল-বিলের পানিতে থাকেন তাহলে দ্রুত সরে আসেন সেই স্থান থেকে,কেননা পানি দ্রুত বিদ্যুৎ পরিবহন করে।
৮).বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। গাড়ির ভেতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। গাড়ির কাচেও হাত দেবেন না।
৯).বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলামাঠে যদি থাকেন তাহলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসে পড়তে হবে।
১০).বজ্রপাতের সময় আশপাশের মানুষের খবর রাখুন। কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। একই সঙ্গে এ সময় বজ্রাহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখুন।
বাংলাদেশের এবং বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।