গরমে জ্বর কি করণীয়? সেরা চিকিৎসা ও প্রতিকারের উপায়
প্রচন্ড গরমে বৃষ্টি আসার পর মানুষের যে জ্বর হয়ে তাই গরমে জ্বর আবহাওয়া পরিবর্তন ও প্রচন্ড গরমের কারণে ভাইরাসজড়িত জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এ থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন বাড়তি সর্তকতা আর আক্রান্তদের জন্য দরকার সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা।
ভাইরাস জ্বরে এন্টেবায়োটিক ওষুধ গ্রহণ করার দরকার নেই। জীবাণুর হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করার জন্য শরীরে প্রকৃতিপ্রদত্ত এটি একটি প্রতিরোধক দেয়াল। জ্বর হলে অনেক নিয়ম মানা হয়, যা পুরোপুরি ঠিক নয়। মূলত ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে আবহাওয়ারও বেশ কিছু পরিবর্তন হয়। এ পরিবর্তনে রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ও মানবদেহে রোগ সৃষ্টিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়।
অতিরিক্ত গরম, বাতাসের আর্দ্রতা, ধুলাবালি ও পরিবেশ শরীরের জন্য অনুকূল নয়। যার ফলে জ্বরে ভোগতে হয়। গরমে জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। সম্ভব হলে পানিতে লবণ বা খাওয়ার স্যালাইন মিশিয়ে নিন। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিন। ভাইরাস জ্বরে অনেকের আবার গলাব্যথা হতে পারে।
সেক্ষেত্রে গলাব্যথা কমাতে কুসুম গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করে দেখতে পারেন। গরমের জ্বর হলে খাবারের বিষয়ে একটু সচেতন হতে হবে। খাবারের মধ্যে ভিটামিন সি ও জিঙ্কযুক্ত খাবারে প্রাধান্য দিন। সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন, সেই সঙ্গে শরীর পরিষ্কার রাখুন, গোসল করুন নিয়মিত।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।
অযথা বৃষ্টিতে ভিজবেন না। শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। যদিও গরমের জ্বর হলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই, তবে জ্বরের স্থায়িত্বকাল চার-পাঁচ দিনের বেশি হয়ে গেলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। খাবারের তালিকায় অবশ্যই মৌসুমী ফল রাখতে হবে। যেমন- আনরস, আম কলা, খোসাযুক্ত ফলা খাদ্য তালিকায় রাখা ভাল। তরল জাতীয় খাবার যেমন, স্যুপ, ফলের শরবত, স্যালাইন, লেবুর শরবত, ডাবের পানি খেতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হবে। গলা ব্যথা থাকলে কুসুম গরম পানি খেতে হবে।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।