বিশ্বের সবচেয়ে গরম যে দেশে

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে উচ্চ তাপের জন্য মানুষের বসবাসের জন্য অত্যন্ত দুরূহ। এ ধরনের স্থানগুলোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন প্রতিবেদকরা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতিও পরিবর্তন হচ্ছে। শীতের দেশেও অনেক সময় নাভিশ্বাস উঠায় গরম অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গরমের তীব্রতায়। তবে এর চাইতেও অনেক বেশি তাপমাত্রার মধ্যেও জীবনধারণ করতে হয় বিশ্বের অনেক দেশের নাগরিকদের।
ইথিওপিয়া: ইথিওপিয়ার দাল্লোল অঞ্চল শুধু উষ্ণই নয় এ অঞ্চলে রয়েছে জীবন্ত আগ্নেয়গিরিও। অবিশ্বাস্য গরম, লবণাক্ত আর এসিডসমৃদ্ধ এলাকা এটি। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ সৃষ্ট অসংখ্য পুকুরে অবিরাম ফুটছে পানি। রয়েছে বিষাক্ত গ্যাস। ১৯৬০ সালে এ অঞ্চলটি খনি শহর থাকলেও এখন তা ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলটির তাপমাত্রা ছিল গড়ে ৯৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে দিনের বেলা প্রায়ই এখানে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়ায়।
ক্যালিফোর্নিয়া: ক্যালিফোর্নিয়ার ডেড ভ্যালিকে বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গা হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিস্তীর্ণ মরুভূমির এই এলাকার তাপমাত্রা ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৩৪.১ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছোঁয়ার রেকর্ড রয়েছে। ডেড ভ্যালিতে গ্রীষ্মকালের ভয়াবহ গরম সহ্য করেও কয়েকশ মানুষ বাস করেন।
আরো পড়ুন: পৃথিবীর সবচেয়ে দামি আম চাষ বাংলাদেশে
ইরাক: যুদ্ধের বাইরে অন্য অনেক সমস্যা মোকাবেলা করে ইরাক। এর মধ্যে একটি বড় সমস্যা অধিক তাপমাত্রা। গরমের দিনে এখানকার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি থেকে শুরু করে ৫৪ ডিগ্রিতে ছাড়িয়ে যায়। উত্তরের পর্বত এলাকায় বরফ পড়লেও পুরো দেশে তাপমাত্রা থাকে অসহনীয়।
সুদান: আফ্রিকার দেশ সুদানে বছরজুড়েই গরম থাকে। এমনকি বৃষ্টির মধ্যে সেখানে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠে। মরুর দেশ সুদানে গড় তাপমাত্রা থাকে ৫২ ডিগ্রি। একেবারে কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় গরমে বেশি নাভিশ্বাস উঠে।
বাংলাদেশেসহ বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।