আমলকি খাওয়ার পর পানি খেলে মিষ্টি স্বাদ লাগে কেন
আমলকির রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসকরবিক এসিডসহ (ভিটামিন-সি) গ্যালিক এসিড ও অন্যান্য জৈব এসিড থাকায় তা এসিডিক এবং খেতে টক লাগে। এই গ্যালিক এসিডের ধর্ম হলো এসিডিক পিএইচে এটি হালকা টক লাগে। যদি পিএইচ বেড়ে নিরপেক্ষ পিএইচের কাছাকাছি পৌঁছে তবে তা দীর্ঘক্ষণের জন্য মিষ্টি স্বাদ অনুভব করায়। পানির পিএইচ ৭ হওয়ায় আমলকি খাওয়ার পর পানি পান করলে মিষ্টি স্বাদ অনুভূত হয়। কাঁচা আমলকি মুখে দিলেই খুব টক হয়ে যায়।
মুখটা টক লাগার কারন আমাদের জীভের স্বাদ গ্রহণকারী কোষগুলি উদ্দীপিত হয়ে ওঠে আমলকিতে থাকা গ্যালিক এসিডের জন্য। এছাড়াও আমলকির রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসকরবিক এসিডসহ ভিটামিন-C অন্যন্য জৈব এসিড থাকায় তা এসিডিক এবং খেতে টক লাগে। কিন্তু গ্যালিক এসিডের ধর্ম হলো এসিডিক পিএইচে এটি হালকা টক লাগলেও যদি ph বেড়ে নিরপেক্ষ ph কাছাকাছি পৌঁছেগেলে তবে তা দীর্ঘক্ষণের জন্য মিষ্টি স্বাদ অনুভূত হয়। জলের ph 7 হওয়ায় আমলকি খাওয়ার পর জল পান করলে খুব মিষ্টি স্বাদের অনুভব হয়।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আমলকি সাহায্য করে। মধুর সঙ্গে এক চামচ আমলকির পাওডার মিশিয়ে খেলে চোখের ছানির সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।ফোড়ন দেওয়া আমলকির রস পান করলে জ্বর কমানো যায়। এ ছাড়া, দাঁতে ব্যথা ও ক্যাভিটি হলে আমলকির রসে সামান্য কর্পূর মিশিয়ে মাড়িতে লাগালে স্বস্তি পেতে পারেন। যে কোনও উপায় আমলকি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এ ছাড়া হিচকি উঠলে বা বমি হলে আমলকির রসে মিশ্রী মিশিয়ে দিনে দু-তিন বার পান করলে স্বস্তি পেতে পারেন।
আরো পড়ুন: প্লাস্টিকের বোতল পানি পান করলে হতে পারে যেসব ক্ষতি
এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে। আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে। এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে। এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র্যাডিকালস।
বাংলাদেশের এবং বিশ্বের সকল খবর সবার আগে জানতে অনুলিপির সাথেই থাকুন।