ভুলে কারও বিকাশে টাকা চলে গেলে কী করবেন?
মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক। তাদের দেওয়া মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নাম বিকাশ! এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের দিকে। সেবা ও মানের দিক থেকে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলোর চেয়ে ভালো হওয়ায় বিকাশের গ্রাহক – জনপ্রিয়তা একটু বেশিই। বিকাশের মাধ্যম আপনি চাইলে অর্থ প্রেরণ, অর্থ গ্রহন, বিল পে, রেমিট্যান্স, নগদ জমা, নগদ উত্তোলন, টিকিট ক্রয় ও বৃত্তির টাকা গ্রহণসহ নানান সেবা নিতে পারেন। তো, বর্তমান সময়ে বিকাশের টাকা কারও নাম্বারে ভুলে চলে যাওয়াটা একটা বিশাল সমস্যা। এজন্য আজকের পোস্টে আমরা জানব- ভুলে কারও বিকাশে টাকা চলে গেলে কী করতে হবে?
ভুলে কারও বিকাশে টাকা চলে গেলে কী করবেন?
মোবাইল ব্যাংকিং করার সময় ভুলবশত অন্যের নাম্বারে টাকা চলে যেতেই পারে। আর এ সময় প্রেরককে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আর মাঝে মাঝে তো টাকা পাওয়াও সম্ভব হয় না। তবে আপনি যদি একটু কৌশলী বা বুদ্ধিমান হোন, তা হলে সে টাকা উদ্ধার করা সম্ভব। কীভাবে কী করবেন সেটার একটা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন মোবাইল ফিন্যান্সশিয়াল সার্ভিস কোম্পানিগুলো; যেমন – বিকাশ। তারা বলেছেন ভুল নাম্বারে টাকা চলে গেলে কখনো ভুলেও যে নাম্বারে ভুলে টাকা পাঠিয়েছেন তাদেরকে বা তাদের নাম্বারে ফোন দেবেন না। কারণ এসময় টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার মন মানসিকতা অনেকের থাকে না। আর টাকা যদি ক্যাশআউট বা তুলে ফেলে তাহলে ভুক্তভোগীর কিছুই করার থাকে না।
আরও পড়ুন: কীভাবে ব্লগিং শুরু করবেন?
তাই ভুলে কারও বিকাশে টাকা চলে গেলে – প্রথমে কাছের থানায় যোাগাযোগ করতে হবে এবং আপনার প্রেরিত টাকার ট্রানজেকশন নাম্বার নিয়ে, কোন নাম্বারে টাকা পাঠিয়েছেন সে সব তথ্য দিয়ে একটি জিডি করতে হবে। আর সে জিডির কপি নিয়ে সে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে যোাগাযোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে। সেখানে যোাগাযোগ করার পর আপনার জিডির কপি, ফোন নাম্বার, ট্রানজেকশন আইডি সবগুলো ব্যাংক কর্মকর্তারা কতিয়ে দেখবেন। ভুলে যে নাম্বারে টাকা চলে গিয়েছিল সে নাম্বার সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে ওই ব্যক্তি টাকা তুলতে পারবেন না।আর সে সময় ওই ব্যাক্তির সাথে যোাগাযোগ করবেন বিকাশ কর্মকর্তারা। যার নাম্বারে ভুলে টাকা গিয়েছে তিনি যদি ফোন ধরেন এবং সত্যতা যাচাই করে নিশ্চিত হোন যে ওই টাকা উনার না; তা হলে ব্যাংক থেকে কর্মকর্তারা উনার থেকে টাকা ফেরত নিয়ে আসল মালিককে ফিরিয়ে দেন। আর যদি ওই ব্যক্তি টাকাগুলো নিজের টাকা বলে দাবি করেন; তবে ৭ দিনের ভেতর বিকাশ অ্যাকাউন্ট টিক করে নিতে নির্দেশ দেবেন বিকাশ কর্মকর্তারা। এই নির্দেশনায় ৬ মাসের ভেতর যিনি আসলে ভুক্তভোগী তার অ্যাকাউন্টে টাকা প্রেরণ করার নির্দেশ দেওয়া হবে। আর যদি পরবর্তী ৬ মাসের ভেতর প্রেরণ না করেন, তাহলে তার অ্যাকাউন্ট অটোমেটিকেলি ডিজেবল হয়ে যাবে।