এবার পাটের আঁশ ছাড়ানোর যন্ত্র আবিষ্কার করলেন দেশের বিজ্ঞানীরা!
যদিও দেশে পাটের আঁশ ছাড়ানোর জন্য বেশ কিছু যন্ত্র আগে হতেই আছে, তবে সেসব যন্ত্র কৃষকরা খুব একটা ব্যবহার করতেন না। কারণ, সেসব যন্ত্র দিয়ে পাটের আঁশ ছাড়াতে গেলে বেশিরভাগ সময় ভেঙে যায় পাটকাঠি। আর এবার পাটকাঠি আস্ত বা অক্ষত রেখে পাটের আঁশ ছাড়ানোর এক অভিনব যন্ত্র আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের দাবি, আবিষ্কৃত যন্ত্রটি দিয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ অবধি পাটকাঠি আস্ত রেখে পাটের আঁশ ছাড়ানো যাবে।
এই তথ্য মঙ্গলবার(২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বা বারি’র ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহার্ভেস্ট প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং সিরিয়াল সিস্টেম ইনিশিয়েটিভ ফর সাউথ এশিয় মেকানাইজেশন অ্যান্ড এক্সটেনশন অ্যাক্টিভিটির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হওয়া এক অনলাইন কর্মশালায় জানানো হয়।
অনলাইনে জুম প্লাটফর্মে এই অনলাইনে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। তিনি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও এই কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন বারি’র সাবেক মহাপরিচালক ড. ক্ষীরোদ চন্দ্র রায় এবং এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম, সিমিট এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. তিমোথি জে. ক্রপনিক এবং সিএসআইএসএ-এমইএ, সিমিট, বাংলাদেশ এর চিফ অফ পার্টি ড. ওয়েন কালভার্ট।
তাছাড়াও কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারি’র এফএমপিই বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. আইয়ুব হোসেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফএমপিই বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক। কর্মশালায় বারি’র বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের বিজ্ঞানী, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ২৫টি কৃষি যন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।