লাইফস্টাইলস্বাস্থ্য ও লাইফস্টাইল
কোরবানির ইদে যেভাবে প্রস্তুতি নেবেন!
![কোরবানির ইদে যেভাবে প্রস্তুতি নেবেন!](https://anolipi.com/wp-content/uploads/2022/07/কোরবানির-ইদে-যেভাবে-প্রস্তুতি-নেবেন-780x470.jpg)
ইদের মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে গৃহিণীরা। বিশেষ করে ইদ-উল-আজহা অথবা কোরবানির ইদে। এত এত কাজ যে হিমশিম খেতে হয়। কেন না, কোরবানির ইদে পশুর মাংস কাটা, বণ্টন, সংরক্ষণ, রান্না ও অতিথি আপ্যায়নের চাপ থাকে বেশি। অনেক সময়ই দেখা যায়, এসব কাজ করতে করতে গৃহিণীরা নিজের জন্য আর পর্যাপ্ত সময় পায় না। তাদের বেশিরভাগ সময়টাই ব্যয় হয় রান্নাঘরে।
#আরও পড়ুন: ডিপ্রেশন কী এবং ডিপ্রেশন থেকে বের হবার উপায়?
তো চলুন আজকে আমরা আলোচনা করবো ইদের প্রস্তুতি নিয়ে! কীভাবে ইদের প্রস্তুতি নিলে ইদের দিন পরিশ্রম কমে এবং পরিবারের সাথে একটি পরিপাটি ইদ কাটানো যায়।
কোরবানির ইদে গৃহিণীরা যেভাবে প্রস্তুতি নেবেন
- অল্প কিছুদিন পরেই পবিত্র ইদ-উল-আজহা বা কোরবানির ইদ। এই কোরবনির ইদ মানেই পশুর মাংস রান্নার হিরিক, মাংসের হরেক পদ। আর মাংস রান্না করতে পেয়াজ পেস্ট, রসুন পেস্ট, আদা পেস্ট খুবই প্রয়োজনীয়। এই মশলা বাটা বা পেস্ট দুই তিনদিন আগে করে রাখলে ইদের দিন চাপ কমে। তবে, স্বাদ ও সুঘ্রাণ ঠিক রাখতে অবশ্যই ডিপ ফ্রিজে এয়ার টাইট বক্সে সংরক্ষণ করবেন৷ এছাড়াও দেখা যায়, মশলা সাধারণ টেম্পারেচারে আসতে অনেক সময় লাগে, তাই সুবিধার জন্য ছোট বক্স বা আইচ বক্সে রেখে বরফ করে পরবর্তীতে তা একটি পলিব্যাগ বা প্যাকেটে রেখে দিতে পারেন। এতে করে যতটুকু দরকার ততটুকু খুব সহজেই বের করে রান্না করা যায়।
- বাঁটা ছাড়াও বেশ কিছু মশলা গুড়ো দরকার হয়, এসব আগে থেকেই গুড়ো করে বা কিনে হাতের কাছে রাখুন।
- কোরবানির ইদে সবচেয়ে বেশি দরকার পড়ে ধারালো দা-বটি, কিংবা ছুরির। কারন, ধারালো না হলে কাজ করতে সময় লাগে, হাত পা কাটার ভয় থাকে। তাই আগেই দা-বটি, ছুরি ধারালো করে একটি নিরাপদ স্থানে রাখুন।
- ইদ মানেই অতিথী আপ্যায়ন৷ অতিথী আপ্যায়নে রং-বেরঙের থালাবাসনই যেন শোভা বাড়ায়। তাই, আগের দিন রাতেই সকল থালাবাসন, চামচ, বাটি, জগ, ট্রে, ইত্যাদি পরিষ্কার করে ধুয়ে, ঘরের শুষ্ক এক কোনায় পাটি বা কাপড় বিছিয়ে ওপুর করে রাখুন৷ এতে যখনি অতিথী তখন আপনাকে থালাবাসন ধোয়ার জন্য তড়িঘড়ি করতে হবে না।
- কোরবানির ইদে মাংসের পাশাপাশি হজম কিংবা টেস্টের জন্য সালাদ দরকার হয়। সালাদের সকল উপকরণ চাইলেই আপনি সকাল সকাল রেডি করে রাখতে পারেন।
- ইদ মানেই বাহারি নাস্তা। এমন কিছু নাস্তা বানান যা আগেই সংরক্ষণ করতে পারবেন৷ যেমন: পুডিং, সেমাই আগের রাতে বানিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন।
- কোববানির পশুর মাংস অন্যদের দেওয়ার জন্য পলিব্যাগ, শপিং ব্যাগ আগে থেকেই কাছে রাখুন। তাহলে বণ্টনের সময় বেগ পেতে হবে না।
- কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করার জন্য আগেই ফ্রিজ পরিষ্কার করুন এবং যথেষ্ট জায়গা খালি করে রাখুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আগে থেকেই ফ্রিজ থেকে বের করে রাখুন। এতে, মাংস সংরক্ষণ নিয়ে চাপ পেতে হবে না।
- মাংস সংরক্ষণের জন্য অবশ্যই মাংসগুলোকে পানি ঝরিয়ে সংরক্ষণ করুন৷ এতে বহুদিন স্বাদ ও ঘ্রাণ ঠিক থাকবে।
- কোরবানির তাজা পশুর মাংস এমনিতেই দ্রুত সিদ্ধ হয়, তবে যদি একটু সময় বেশি লাগে তবে মাংসের ভেতর কিছু পেঁপে কুচি বা পেস্ট দিন৷ এতে মাংস সিদ্ধ দ্রুত হবে এবং স্বাদ অক্ষুন্ন থাকবে।
- ইদের সময় সবচেয়ে বেশি দরকার পড়ে বড়ো বড়ো হাঁড়ি-পাতিল ও বালতি গাবলার। এগুলো আগেই সরবরাহ করে রাখুন।
- ইদে রান্নাঘরে কাঁচা মাংসের গন্ধ হয়। তাই আগে থেকে ব্লিচিং পাউডার ও যাবতীয় পরিষ্কারক কিনে রাখুন।
এতকিছু করার পরও দেখা যায় আপনার বাসার গৃহিণী সময় বের করতে পারছে না। এইজন্য আপনারা পরিবারের বাকি সদস্যরা তাকে সহায়তা করুন। একটি সুন্দর ইদ কাটান। ধন্যবাদ।
#আরও পড়ুন: স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত!