
ঈদুল আজহার ছুটিকালীন সময়ে শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকায় সারাদেশে চলমান লোড শেডিং কিছুটা বন্ধ ছিল। কিন্তু আগামী রবিবার থেকে পুরোদমে শিল্প-কারখানা চালু হলে আবারো গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাবে। তখন লোড শেডিং দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, গত মঙ্গলবার থেকে অফিস-আদালত খোলা হলেও এখনো অধিকাংশ শিল্প-কারখানা গুলো চালু হয়নি। তাই চাহিদা অনুপাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। এখন দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ১২ হাজার মেগাওয়াট। যার পুরোটাই সরবরাহ করার পরিস্থিতি আমাদের রয়েছে। তবে আগামী রবিবার থেকে কারখানাগুলোও চালু হলে এই চাহিদা এসে দাঁড়াবে ১৫ হাজার মেগাওয়াটে। তখন থেকে আবারো সারা দেশে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক (কারিগরি) রফিকুল ইসলাম বলেন, চলমান গ্যাস সংকটের কারণে দেশে সর্বোচ্চ সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে আগামী রবিবার থেকে দিনে আড়াই হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ ঘাটতি হবে। তখন সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ সঠিক রাখতে লোড শেডিং এর আশ্রয় নিতে হবে।