রাশিয়ার দখলে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্র!
রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নিজেদের অধীনে নিয়েছে যা ছিল ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। একই সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি এলাকায় ‘ব্যাপক হারে পুনরায় সেনা মোতায়েন করছে’ মস্কো। ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসব এলাকায় ইউক্রেনীয় বাহিনী পাল্টা হামলা শুরু করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার রুশ বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ভুলেহিরস্ক কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র অক্ষত অবস্থায় দখল করেছে যা ছিলো সোভিয়েত আমলের। সাম্প্রতিক কালে এটি রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সফলতা হিসেবে বলা হচ্ছে। অপরদিকে পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা হারানোর কথা নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেকসি আরেস্টোভিচ। তবে তিনি চিন্তিত না হয়ে এটাকে রাশিয়ার ‘সামান্য কৌশলগত অর্জন’ বলেছেন।
আরেস্টোভিচ বলেন, দক্ষিণে রাশিয়ার পুনরায় সেনা মোতায়েন পরিকল্পনাকে আক্রমণাত্মক এর পরিবর্তে কৌশলগত আত্মরক্ষামূলক অবস্থান হিসেবে দেখা হচ্ছে। মেলিতোপোল, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলে রাশিয়া পুনরায় সেনা মোতায়েন করছে বলে জানা যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণে ৬৬ শত্রু সেনাকে হত্যা করেছে রাশিয়া ৩টি ট্যাংক ও ২টি অস্ত্রের মজুত ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এমনকি মাইকোলাইভে মাল্টিপল রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন তারা। এর আগে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের সচিব ওলেকসি দানিলভ এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন, খেরসনে ‘সর্বোচ্চসংখ্যক সেনা’ জড়ো করছে রাশিয়া।
তবে সেজন্য নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে ইউক্রেনীয় বাহিনীও খেরসনের দিনিপ্রো নদীর ওপর নির্মিত সেতুর ওপর হামলা চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে যান চলাচল। এদিকে রুশ এই হামলাও রুশ বাহিনীকে দমাতে পারেনি। রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, সেতুর পরিবর্তে সেনাদের নদী পারাপারে তাঁরা পন্টুন ব্রিজ ও ফেরি ব্যবহার করার ব্যবস্থা করবেন।
আরও পড়ুন: আইএসএস থেকে সরে নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরি করবে রাশিয়া!