আজ শুক্রবার (১ জুলাই) বাসায় গাড়ি প্রবেশকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী । এ সময় মুসল্লিরা তার ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। তাকে ও তার ড্রাইভারকে লাঞ্ছিত করা হয়।
পুলিশ জানায়, জুমার সময় বাসার গেটের সামনে মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের সঙ্গে ‘তর্কাতর্কি হয়েছে’।
শুক্রবার (১ জুলাই) জুমার নামাজের সময় রাজধানীর উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ৬/এ নং সড়কের বাসায় এই হামলাটি হয়। এ সময় মুসল্লিরা ‘নাস্তিক, নাস্তিক’ বলে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় বাড়ির গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টাও করে বিক্ষুব্ধ মুসল্লীরা তারা রতন সিদ্দিকী ও তার ড্রাইভারকে মারধরের চেষ্টা চালায়।
#আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষায় বিশ্বব্যাংকের অনুদান পেল বাংলাদেশ
ঘটনার সময় বাসার সামনে একটি মোটরসাইকেল রাখা ছিলো। যে কারণে বাড়ির ভেতর গাড়ি ঢোকাতে ব্যর্থ হন ড্রাইভার। এ সময় মোটর সাইকেলটি সরাতে বললে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়। অনেকেই ‘নারায়ে তাকবীর’ স্লোগান দিতে থাকেন আবার কেউ কেউ ‘হিন্দু হিন্দু’ চিৎকার করে মুসল্লিদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করেন।
অধ্যাপক রতন সিদ্দিকীর মেয়ে পূর্ণতা সিদ্দিকী বলেন, বাসায় কুকুর রাখা নিয়েও তাদের আপত্তি রয়েছে। ইতিপূর্বে একটি মহল বাসায় কুকুর না রাখার ব্যাপারে হুমকি ধামকি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, হামলার দেড়ঘণ্টা পর পুলিশ আসে। আর বাসার সামনের স্কুলের প্রিন্সিপাল স্যার ও কয়েকজন শিক্ষক আসেন। আমার বাবা একজন শিক্ষক, একজন জাতীয় ব্যক্তিত্ব। আজকে তাকে অসম্মানিত হতে হয়েছে, হামলার শিকার হতে হয়েছে।
পুলিশের উপ কমিশনার মোর্শেদ আলম জানিয়েছেন, ‘মূলত রতন সিদ্দিকীর বাসা মসজিদের পাশে, আজকে জুমার দিন ছিল, সবাই বাসার সামনে মোটরসাইকেল, ভ্যান রেখে নামাজ পড়ছিল। এ নিয়ে মুসল্লিদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়।’
#আরও পড়ুন: চবিতে সমাজ বিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে সেমিনার অনুষ্ঠিত
উল্লেখ্য, ড. রতন সিদ্দিকী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। নাটকে অবদান রাখায় তিনি ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছেন। তিনি উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।