চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অবরোধ আজ ২ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল পর্যন্ত অব্যাহত আছে। গত ৩১ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত ৩৭৫ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে স্থান না পেয়ে সেদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডেমিক ও প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে যায়।
গতকাল (সোমবার) সকালে ঝাউতলা স্টেশনে শাটল ট্রেন আটকে দিয়ে ট্রেনের লোকোমাস্টারকে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন অবরোধকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো বাস। এতে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক কেউই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেননি। আজও এই অবরোধ চলমান আছে। এদিকে জরুরী ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের ক্লাস, পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন# চবিতে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর অবরোধ: অচল ক্যাম্পাস
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ডক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া সম্পূর্ণভাবেই তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে প্রশাসনের কিছুই করার নেই। আমরা চাইলেই পদবঞ্চিতদের ব্যাপারে কোনোরকম হস্তক্ষেপ করতে পারি না। আমরা অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, ৩৭৫ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে রাজনীতিতে অনিয়মিত, সিনিয়র সক্রিয় কর্মীদের বাদ দিয়ে জুনিয়র সেশনের ছাত্রদের অন্তর্ভুক্তি, বিবাহিত ছাত্রদের পদ পাওয়া সহ বেশিকিছু অভিযোগ করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই পদববঞ্চিতরা অবরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পদবঞ্চিত নেতা। এদিকে ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী!