
পরিস্থিতি দুইদিন শান্ত থাকার পর আবারও আজ (০৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে। মাঝে মাঝেই ছোড়া হচ্ছে আর্টিলারি ও মর্টার শেল।
এদিকে নতুন করে গোলাগুলির শব্দে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এবং শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। ক্রমশই বাড়ছে অস্থিরতা। এর আগে গত ২৮ আগস্ট একই এলাকায় মিয়ামারের দু’টি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল এসে পড়লে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে দু’দিন ফায়ারিং বন্ধ ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে, তবে সীমান্তের আকাশে গত দু’দিন কোনো হেলিকপ্টার বা যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে বাংলাদেশ!
স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ আরও বলেন, গেল এক মাস ধরে সীমান্ত এলাকায় গুলি আর মর্টারশেলের শব্দে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তবে গত দু’দিন গোলাগুলি বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্ত এলাকায় আবার গোলাবর্ষণের আওয়াজ শোনা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ঘুমধুম ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা মো. নুর মোহাম্মদ জানান, গত ৩ আগস্ট সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেছিলেন তারা, ওইদিন বাইশপারি সীমান্তে দু’টি মর্টারশেলও পড়েছিল। কিন্তু এরপর দু’দিন বন্ধ থাকার ফলে সীমান্তে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছিল।
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফৌরদৌস জানান, সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রয়েছে।