জাতীয়সন্দেশ

কমতে শুরু করেছে চালের দাম, বাজার স্থিতিশীল!

অবশেষে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। চাল আমদানির ক্ষেত্রে সরকারের বেঁধে দেওয়া ১০ শতাংশ ট্যাক্স কমানোয় খোলাবাজারে চালের দাম প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। এখন মাত্র ১৫.২৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আমদানিকারকরা বন্দর থেকে চাল খালাস করাচ্ছেন। চালের দাম কমে আসায় নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। এছাড়াও ভারত থেকে চালের আমদানি বেড়েছে। এতে সামনের দিনগুলোতে চালের দাম আরও কমার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশে চালের উৎপাদন কমে গিয়েছে। এতে বাজার মূল্য ঊর্ধ্বগতি রুখতে সরকার বিভিন্ন শর্ত দিয়ে গত ১৩ জুলায় থেকে বেসরকারি পর্যায়ে কয়েকশ ব্যবসায়ীকে ভারত থেকে চাল আমদানি করার অনুমতি দেয়। তবে সম্প্রতি দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে চালের দাম আবারও বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরা দেশীয় চালের চেয়ে আমদানি করা চাল আরও বেশি দামে বিক্রি করছিলেন। এতে বেশ বিপাকে পড়েন দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের।

আরও পড়ুন# ঢাবি ছাত্রী অপহরণকারী রুবেলের টার্গেট ছিল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা!

অবশেষে সরকার সাধারণ মানুষের স্বস্তি ফেরাতে চালের আমদানিতে ট্যাক্স ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। ভারত থেকে প্রতি মেট্রিক টন স্বর্ণা চাল ৩৮০ মার্কিন ডলার ও মিনিকেট ৪৫০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। এখন প্রতি কেজি স্বর্ণা চালে সরকারকে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৫ টাকা ৬৮ পয়সা ও মিনিকেটে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। এতে সব ধরনের চালে কেজিতে আমদানি খরচ প্রায় ৫ টাকা কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরাও খুচরা বাজারে ৫ টাকা কমে চাল বিক্রি করতে শুরু করেছেন। প্রতিদিনের তালিকায় থাকা চালের মূল্য কমে আসায় অনেকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। আমদানি কর কমায় ভারত থেকে আমদানির পরিমাণও বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত ১ সেপ্টম্বর থেকে ১৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিয়ে বন্দর থেকে চাল খালাস করছেন ব্যবসায়ীরা।

বেনাপোল বন্দরের চাল আমদানিকারক লিপু হোসেন জানান, চাল আমদানিতে আগে ২৫ শতাংশ কর দিতে হচ্ছিল। এখন ১৫ শতাংশ কর দিতে হচ্ছে। আমদানি কর কমে যাওয়ায় কম দামে চাল কিনে কম দামে বিক্রি করতে পারছি। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমার সম্ভবনা আছে।

খুচরা চাল বিক্রেতা রহমান জানান, শুল্ক কমে যাওয়ায় সবধরনের চালের দাম কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে খোলা বাজারে স্বর্ণা চাল ৪৮ টাকা, আঠাশ ৫৮, মিনিকেট ৬১, বাসমতি ৭৫ ও কাজললতা ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের ‍উপ সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, গত ১৩ ‍জুলাই থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর থেকে ১৪ হাজার ৫২৪ মেট্রিক টন সরকার অনুমোদিত চাল খালাস হয়েছে। বন্দর থেকে দ্রুত চাল খালাস দিতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

Back to top button

Opps, You are using ads blocker!

প্রিয় পাঠক, আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন, যার ফলে আমরা রেভেনিউ হারাচ্ছি, দয়া করে অ্যাড ব্লকারটি বন্ধ করুন।